BRAKING NEWS

ফের উপজাতি জনপদে পিস্তল উঁচিয়ে বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্মীর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা লুট

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ ফেব্রুয়ারী৷৷ রাজ্যের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা তথা আইন শৃঙ্খলা দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে বলে মত দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷ কোথাও নারী সংক্রান্ত অপরাধ তো কোথাও লুটপাট ও চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেই চলেছে৷ বাদ যাচ্ছে না ব্যাঙ্ক কর্মীরাও৷ বিশেষ করে বন্ধ ব্যাঙ্কের কর্মীদের নিশানা করেছে দুসৃকতিরা৷ ওই ব্যাঙ্কের কর্মীরা বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জ থেকে লোনের টাকা সংগ্রহ করেন৷ তাই তাদেরকে নিশানায় রেখেছে দুসৃকতিরা৷ জানা গিয়েছে বোধজংনগর থানার অধীন রাজচন্তাই এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে পিস্তল উঁচিয়ে ব্যাঙ্ক কর্মীর কাছ থেকে এক লক্ষ চৌদ্দ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গিয়েছে দুসৃকতিরা৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ যদিও পুলিশ দুসৃকতিদের ধরতে তল্লাসী অভিযান চালিয়েছে৷ তবে সাফল্য আসেনি৷

সংবাদে প্রকাশ, বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্মী বিশ্বজিৎ দেবনাথ রাজচন্তাই এলাকায় বিভিন্ন কালেকশন গ্রুপ থেকে লোনের কিস্তির টাকা সংগ্রহ করে বাইকে করে আগরতলার দিকে ফিরছিলেন৷ রাজচন্তাই এলাকায় পৌঁছতেই দুই যুবক বিশ্বজিৎ দেবনাথের বাইকটি রাস্তায় আটক করে৷ তাঁর বুকে পিস্তল উঁচিয়ে ব্যাগ দিয়ে দেওয়ার জন্য বলে৷ প্রাণের মায়ায় ব্যাগটি তিনি দিয়ে দেন দুসৃকতিদের৷ তারপর বিশ্বজিৎ দেবনাথ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান৷ তিনি বিষয়টি প্রথমে ব্যাঙ্কের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানান৷ পরে বিষয়টি বোধজংনগর থানায় জানানো হয়৷ থানার ওসি সুব্রত বর্মন দ্রুততার সাথে তদন্তে নামেন৷ পুলিশের একটি টিম তল্লাসী অভিযান চালায়৷ নামানো হয় ডগ স্কোয়ড৷ পুলিশের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর রাজচন্তাইয়ের একটি রাবার বাগান থেকে ছিনতাই হওয়া ব্যাগটি উদ্ধার করেছে৷ ব্যাগের মধ্যে রাখা কিছু পাশবই এবং রেজিস্ট্রার খাতা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷ টাকা পয়সার কোন হদিশ নেই৷ পুলিশ জানিয়েছে তল্লাসী অভিযান জারী রয়েছে৷

এদিকে, বন্ধন ব্যাঙ্কের এক আধিকারীক জানিয়েছেন, বন্ধন ব্যাঙ্ক মূলত জনগণকে লোন দিয়ে থাকেন৷ সেই লোনের টাকা কিস্তিতে সংগ্রহ করা হয় বিভিন্ন কালেকশন সেন্টার থেকে৷ গ্রুপ করে এই টাকা সংগ্রহ করা হয়৷ কিন্তু, দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকাগুলি থেকে লোনের টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না৷ ব্যাঙ্ক কর্মীরা লোনের টাকা সংগ্রহ করতে গেলে তাদের নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে৷ তাতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা টাকা সংগ্রহ করতে পারছেন না৷ ব্যাঙ্কের প্রচুর টাকা বকেয়া পড়ে গিয়েছে৷ বিশেষ করে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে৷ ব্যাঙ্ক আধিকারীকের এই বত্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, বাস্তবে তাই হচ্ছে৷
শহর থেকে একটু দূরে বোধজংনগর থানার অধীন বেশ কয়েকটি উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় বসবাসকারী জনগণের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে তারা অনেকেই বন্ধন ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছেন৷ সরকার বদলের পর তাদের আয়ের উৎস প্রায় বন্ধ৷ তাই তারা সময়মতো লোনের কিস্তি মিটিয়ে দিতে পাড়ছেন না৷ এই পরিস্থিতিতে তারা কি করবেন ভেবে পাচ্ছে না

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *