BRAKING NEWS

প্রধানমন্ত্রীক ‘প্রাইম টাইম মিনিস্টার’ বলে কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধী

ন্যাদিল্লি, ২২ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : পুলওয়ামা হামলার পর প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি নিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্রের অভিযোগ কেন্দ্র সরকারের তরফে উড়িয়ে দেওয়ার পরও ওই একই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধী সভাপতি রাহুল গান্ধী । শুক্রবার ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘প্রাইম টাইম মিনিস্টার’ বলে কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধী ।


বৃহস্পতিবারই এক সাংবাদিক বৈঠকে একটি ছবি দেখিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা অভিযোগ করেছিলেন, পুলওয়ামা হামলার দিন, হামলার খবর জানার পরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে একটি ডকুমেন্টারির জন্য শুটিং করছিলেন। তিনি বলেন, “যে সময় গোটা দেশ শোকে কাতর, সেসময় প্রধানমন্ত্রী নিজেকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে সন্ধে পর্যন্ত শুটিং করছিলেন। ক্যামেরাম্যানদের সঙ্গে বোটিং করছিলেন। পুলওয়ামার হামলা হয় বিকেল ৩টের সময়। অথচ, প্রধানমন্ত্রী সন্ধে ৬টা ৪০ পর্যন্ত প্রমোশোনাল ভিডিও শুট করছিলেন। গোটা দেশের তখন খাবার খাওয়ার ইচ্ছেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, অথচ প্রধানমন্ত্রী সন্ধেবেলায় সময় চা, সিঙাড়া খাচ্ছিলেন। পুরোপুরি লজ্জাজনক। যখন গোটা দেশ দুঃখপ্রকাশ করছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী শুটিং করছিলেন, আর কোথাও পাবেন এমন প্রধানমন্ত্রী?” যদিও গতকালই ওই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় কেন্দ্র সরকার |

সরকারি সূত্রে খবর পুলওয়ামা জঙ্গি হামলায় শহিদের মর্মান্তিক খবর শুনে গোটা দিন মুখে এক দানা অন্ন তুলতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অবস্থায় শুক্রবার ওই একই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ ট্যুইট করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী | তিনি লেখেন, ‘পুলওয়ামায় জওয়ানদের মৃত্যুর খবর জেনে তিন ঘণ্টা পরও ফিল্মের শুটিং করছিলেন প্রাইম টাইম মিনিস্টার। দেশের শহিদ জওয়ানদের পরিবার যখন শোকের সাগরে ডুবে ছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী হাসতে হাসতে নদীতে শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন।’উল্লখ্যে, গতকাল রাতেই সরকারি সূত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ১৪ ফেব্রুয়ারি, অর্থাত্ ঘটনার দিনের কর্মসূচির গোটা তালিকা প্রকাশ করা হয়। সরকারি সূত্রে দাবি, সেদিন প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে সকাল ৭টার মধ্যে বেরিয়ে যান। খারাপ আবহাওয়ার জন্য দেহারাদুনে চার ঘণ্টার জন্য আটকে পড়েন তিনি। বেলা ১১.১৫ মিনিট নাগাদ জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে পৌঁছন তিনি। সেখানে তিন ঘণ্টা থাকেন।


সূত্রের দাবি ওই দিন, জিম করবেটে একটি টাইগার সাফারির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও ইকো টুরিজম জোন ও রেসকিউ সেন্টারের উদ্বোধন করেন। এরপর মোটরবোটে কালাগড় থেকে ঢিকলায় যান তিনি। রুদ্রপুরে দুপুর তিনটে নাগাদ একটি র্যা লি হওয়ার কথা ছিল। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু ততক্ষণেই পুলওয়ামার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেখবর কানে পৌঁছে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সূত্রের দাবি, তখন থেকেই উচাটন ছিলেন তিনি। বারবার ফোনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, গভর্নরের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। তাঁদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিচ্ছিলেন।তারপর রামপুর গেস্ট হাউসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও ফোনে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সূত্রের দাবি, ঘটনার কথা জানার পর এক মুহূর্তের জন্যও প্রধানমন্ত্রীকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসে থাকতে দেখা যায়নি। তিনি কোনও খাবারও মুখে তোলেননি। রামপুর থেকে সন্ধ্যা সাতটায় বেরিয়ে যান তিনি, রাতে দিল্লিতে পৌঁছন।
ডিসকভারি চ্যানেলের জন্য প্রধানমন্ত্রী যে শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন, কংগ্রেসের সেই দাবি নস্যাত্ করেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। যদিও এখনও পর্যন্ত চ্যানেলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *