BRAKING NEWS

আর্থিক সংকটে রাজ্যে সড়ক সংস্কারের কাজ ব্যহত হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ ফেব্রুয়ারী৷৷ আর্থিক সংকটে রাজ্যে বিভিন্ন রাস্তা এবং সড়ক সংস্কার ব্যহত হচ্ছে৷ অবশ্য, পূর্বতন সরকারের রেখে যাওয়া আর্থিক বোঁঝাও এই সংকটের পেছনে অন্যতম কারণ৷ ফলে, এখন সেস এবং বিভিন্ন দপ্তরের নির্মাণ কাজ থেকে এজেন্সি কমিশন সংগ্রহের মাধ্যমে সড়ক সংস্কারে তহবিল গড়ে তুলছে রাজ্য সরকার৷

পূর্ত দপ্তরের প্রধান সচিব মনোজ কুমারের কথায়, সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রেখেই ইতিপূর্বে বিভিন্ন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে৷ ফলে, বিভিন্ন প্রকল্পে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর তা সংস্কারের ক্ষেত্রে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে৷

তাঁর বক্তব্য, রাজ্যে পূর্ত দপ্তরের অধীন রাস্তা রয়েছে ১২ হাজার কিমি৷ গ্রামোন্নয়ন এবং এডিসি মিেিল রাজ্যে রাস্তার মোট পরিধি ২২ হাজার কিমি৷ নির্দিষ্ট সময় অন্তর ওই রাস্তা সংস্কারেরও যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে৷ তাঁর কথায়, প্রত্যেক রাস্তা নির্দিষ্ট সময় অন্তর সংস্কার খুবই জরুরী৷ নইলে, একই সংস্কার কাজ দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর করা হলে দ্বিগুন কিংবা তিনগুন অর্থ ব্যয়৷

তিনি জানান, রাজ্যে যে সমস্ত এখন সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে তাতে মোট প্রয়োজন ৫০০ কোটি টাকা৷ কিন্তু, সংস্কার খাতে বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ৯৫ কোটি টাকা৷ ফলে, বিশাল অংকের টাকার ঘাটতি রয়েছে৷ তবে, এই সমস্যার উপায়ও বের করা হয়েছে৷ তাঁর দাবি, সেস বসিয়ে এবং বিভিন্ন দপ্তরের কাজ করার জন্য এজেন্সি কমিশন বাবদ যে অর্থ সংগ্রহ হবে সেই টাকা শুধুমাত্র সংস্কার কাজেই ব্যবহৃত হবে৷ তিনি জানান, গত সেপ্ঢেম্বর থেকে রোড সেস সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ ২ শতাংশ করে রোড সেস সংগ্রহের মাধ্যমে শুধু সেপ্ঢেম্বর মাসেই ৩৬৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, পূর্ত দপ্তর রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের নির্মাণ কাজের দায়িত্বে রয়েছে৷ ওই নির্মাণ কাজ থেকে পূর্ত ধরনের কমিশন আদায় করছে না৷ কিন্তু, এখন যে কোন দপ্তরের নির্মাণ কাজ করা হলে পূর্ত দপ্তরকে এজেন্সি কমিশন বাবদ অর্থ দিতে হবে৷ মনোজ কুমারের কথায়, এজেন্সি কমিশন বাবদ আদায় অর্থ শুধুমাত্র সংস্কার কাজেই ব্যবহার করা হবে৷

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় নির্মিত রাস্তাও এখন সংস্কারের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের জন্য বোঁঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্মাণকারী সংস্থা পাঁচ বছর পর্যন্ত সমস্ত সংস্কারের অর্থ বহন করবে৷ সেই মেয়াদ এখন ফুড়িয়েছে৷ ফলে রাজ্য সরকারকেই ওই সমস্ত সড়ক সংস্কারের দায়িত্ব বহন করতে হবে, বলেন পূর্ত দপ্তরের প্রধান সচিব৷

রাজ্য সরকারের উপর আর্থিক বোঁঝা নিয়ে প্রধান সচিবের আরো দাবি, পূর্বতন সরকার ১৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ অর্ধ সমাপ্ত করে রেখে গেছে৷ ওই প্রকল্পে বিভিন্ন দালানবাড়ি নির্মাণ হচ্ছে৷ তাতে, মাত্র ৭৫০ কোটি টাকার নির্মাণ কাজ বিভিন্ন স্কিমের সাথে যুক্ত রয়েছে৷ কিন্তু, বাকি কাজের জন্য রাজ্য সরকারকেই ব্যয়ভার বহন করতে হবে৷ তাই, হুডকো থেকে ২০০ কোটি ঋণ নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ কিন্তু, বাকি টাকা কিভাবে জুগাড় হবে তা এখনো স্থির হয়নি৷ তাঁর সাফ কথা, রাস্তা কিংবা সড়ক সংস্কার এখন রাজ্য সরকারের সবেচেয়ে বেশী মাথা ব্যথার কারণ৷ পূর্বতন সরকারের রেখে যাওয়া বোঁঝা সামাল দিতে বর্তমান সরকার হিমসিম খাচ্ছে৷রণ মানুষকে আর্থিক নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *