BRAKING NEWS

বনাধিকার আইনে পাট্টা প্রাপকদের ঘর ও নগদ দুই লক্ষ টাকা, কেন্দ্রে প্রস্তাব দিল রাজ্য সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ জানুয়ারী৷৷ ত্রিপুরা ল্যান্ড এন্ড রেভেনিও অ্যাক্ট ১৯৬০ সংশোধণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ ইতিমধ্যেই চার সদ্যসক একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে৷ এই কমিটি রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে৷ তারপরই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে৷ মহাকরণে সোমবার এই বিষয়টি জানিয়েছেন রাজস্বমন্ত্রী এন সি দেববর্মা৷ সাংবাদিকদের তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত টিএলআর অ্যাক্ট দশবার সংশোধন করা হয়েছে৷ তারপরও অনেক অস্পষ্টতা রয়ে গেছে৷ আদালতেও মামলা হয়েছে৷ বিভিন্ন সময়ে আইনজীবীরা যে সব তথ্য তুলে ধরেন তাতে অস্পষ্টতা কাটিয়ে উঠা সম্ভব হচ্ছে না৷


তিনি আরও জানান, রাজ্য সরকার চাইছে খাস ও জোত জমি যেগুলি আছে সেগুলির রেকর্ড সঠিকভাবে নেই দপ্তরে৷ সঠিক রেকর্ড রাখার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ তাছাড়া জমির যে খাজনা আদায় করা হয় তাও যৎসামান্য৷ এই খাজনার পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে৷ অন্যদিকে, বনাধিকার আইন ২০১৬ মোতাবেক রাজ্যের যেসব পরিবারকে জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে তারে জমির খতিয়ান ও পরচা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ সরকারী ভাবে প্রায় ১ লক্ষ ২৬ হাজার পরিবারকে পাট্টা দেওয়া হয়েছে৷ তবে, প্রশ্ণ উঠেছে এমন অনেক পরিবার আছে যাদের বাড়ি, ঘর, জমি থাকা সত্বেও বনাধিকার আইন অনুযায়ী জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে৷ দপ্তর এই বিষয়টিওে খতিয়ে দেখছে৷ রাজস্বমন্ত্রী জানিয়েছে, রাজ্য মন্ত্রিসভা ইতিপূর্বে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনাধিকার আইন অনুযায়ী যাদের জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেককে ঘর দেওয়া এবং নগদ দুই লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা করা৷ এই আর্থিক সহায়তা মূলত জমিতে চাষাবাদ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করার জন্য৷ এই দাবী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যেমন পাঠানো হয়েছে তেমনি রাজ্য সফরে আসার পর পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের কাছেও করা হয়েছে৷ এই জন্য প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে৷ মন্ত্রী এন সি দেববর্মা আরও জানিয়েছে, এখনও বহু পরিবার রয়েছে যাদের ঘর নেই থাকার জন্য৷ এমন প্রায় নয় হাজার পরিবারকে জমির পাট্টা দেওয়া হবে এবং পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রের অনুমতি পেলে ও আর্থিক বরাদ্দ পেলে ঘর করে দেওয়া হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *