BRAKING NEWS

পশ্চিমবঙ্গে খুনের রাজনীতি চলছে, রামলীলা ময়দানে মুকুল রায়

নয়াদিল্লি, ১২ জানুয়ারি (হি.স.) : দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিজেপির জাতীয় পরিষদের বৈঠক থেকে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ রাজের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান মুকুল রায়। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহদের পাশে দাঁড়িয়ে মুকুল রায় ব লেন, বাংলায় গণতন্ত্র নেই। খুনের রাজনীতি চলছে। তবে কথা দিচ্ছি, লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে কুড়িটার বেশি আসন জিততে দেব না।শুক্রবার দিল্লির দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিজেপির জাতীয় পরিষদের বৈঠক | শনিবার দু’দিন ব্যাপী ন্যাশনাল কাউন্সিল বৈঠকের অন্তিম দিনে শনিবার সেখানে ভাষণ দেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান মুকুল রায়। এদিন তাঁর ভাষণে মুকুল রায় বলেন, “আমার স্বীকার করতে গ্লানি নেই যে, আমি পাপ করেছি। তৃণমূল তৈরি হওয়ার কাজে আমার ভূমিকা ছিল। কিন্তু বাংলায় সেই তৃণমূল এখন যে ভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে তা ভাবা যায় না। পঞ্চায়েত ভোটে ৩৪ শতাংশ আসনে বিরোধীরা মনোনয়ন পেশ করতে পারেননি। ১৮০ জন রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। বাংলায় পুলিশ রাজ চলছে। সেই কারণেই প্রায়শ্চিত্ত করতে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছি।” এর পরই মুকুল, মোদী-অমিত শাহকে কথা দেন, বাংলায় কুড়িটার বেশি আসন পাবে না তৃণমূল।


মুকুলের বক্তৃতা শুনে হাততালি দিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। আবার তাঁকে সমর্থন জানাতে গিয়ে মুকুলের বক্তৃতা শেষ হতেই হাতে মাইক তুলে নেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তিনি বলেন, “এই প্যান্ডেলে বসে আন্দাজ করা যাবে না যে বাংলার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। সেখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। বিজেপি কর্মীদের উপর কী পরিমাণ অত্যাচার হচ্ছে। তাদের খুন করা হচ্ছে।” বিজেপি সভাপতি বলেন, “বাংলার কর্মীদের পাশে পাহাড়ের মতো মজবুত হয়ে দাঁড়াতে হবে সবাইকে। সেই একাত্মতা জানাতে সবাই মিলে স্লোগান তুলুন,-ভারত মাতা কী জয়!”উল্লেখ্য, আর মাত্র কয়েকমাস পরই লোকসভা নির্বাচন| আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের রণনীতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য দিল্লির রামলীলা ময়দানে আয়োজিত হয় দু’দিন ব্যাপী বিজেপির জাতীয় পরিষদের বৈঠক| দু’দিন ব্যাপী ন্যাশনাল কাউন্সিল বৈঠকের অন্তিম দিন, শনিবার সকালেই রামলীলা ময়দানে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ| প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ছাড়াও, বিজেপির জাতীয় পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার-সহ অন্যান্যরা| দলের তাবর তাবর নেতাদের সঙ্গে জাতীয় মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পান মুকুল রায় | প্রসঙ্গত, বিজেপি-র জাতীয় অধিবেশনের মঞ্চে বরাবরই দলের শীর্ষ সারির নেতারা বক্তৃতা দেন। আবার রাজ্য স্তরের নেতাদের মধ্যে কখনও মুখ্যমন্ত্রীকে, কখনও বা রাজ্য সভাপতিকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সভাপতিদের সবাই যে সুযোগ পান তাও নয়। সে দিক থেকে রাষ্ট্রীয় পরিষদের বৈঠকে মুকুল রায়ের হাতে মাইক দেওয়া বিজেপি-র অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য তাৎপর্যপূর্ণ বইকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *