হোজাই (অসম), ৯ অক্টোবর, (হি.স.) : কমর-উজ জামান তথা অসমে হিজবুল মুজাহিজিনের কার্যকলাপ সংক্রান্ত মামলা সরকারিভাবে নিজেদের দায়িত্বে নিয়েছে নিয়া। পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাসের নেতৃত্বে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (নিয়া বা জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা)-র চার জনের এক দল হোজাই থানায় এসে হিজবুল মুজাহিদিনের ক্যাডার কমর-উজ জামানকে জেরা করা শুরু করেন। পরে বিকেলের দিকে তাকে নিয়ে শংকরদেব নগর আদালতে যান নিয়া এবং এসআইবির দল। আদালতে শুনানি শেষে ধৃত কমর-উজ জামানকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে দু-একদিনের মধ্যে তাকে ফের উত্তরপ্রদেশের কানপুর ইত্যাদি এলাকায় নিয়ে যাবে নিয়া।
শনিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে এনে তাকে হোজাই থানায় রাখা হয়েছিল। এদিন থানায় দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। কয়েক দফা জেরার পর শনিবার বিকেলে কমর-উজ জামানকে শংকরদেবনগর আদালতে হাজির করে তিনদিনের হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। এ পর থেকে দিবারাত্র তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গতকাল রাতে কমর-উজকে সঙ্গে নিয়ে তার গৃহ এলাকা যমুনামুখের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তিনদিনের মেয়াদ শেষে আজ তাকে ফের আদালতে তোলা হয়েছিল। জানা গেছে, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তাকে ফের উত্তরপ্রদেশের কানপুর ইত্যাদি এলাকায় নিয়ে যাবে নিয়া।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভোরে উত্তরপ্ৰদেশের কানপুরের শিবনগরে জনৈক গৃহস্থের বাড়ি থেকে অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল অসমের হোজাই জেলার যমুনামুখের বাসিন্দা হিজবুল মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য কমর-উজ-জামান ওরফে কমরউদ্দিনকে।
কানপুরে তাকে গ্রেফতারের পর অসমেও যে হিজবুল তাদের জাল বিস্তার করেছে তার প্রমাণ ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে। কমর-উজ-জামানকে গ্রেফতারের পর হোজাই ও নগাঁও জেলা থেকে এখন পর্যন্ত তার সাত সাঁকরেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।