BRAKING NEWS

সিধুকে পাকিস্তানের এজেন্ট বলে কটাক্ষ হারসিমরত কৌর বাদলের

নয়াদিল্লি, ১৮ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : নভজ্যোত সিং সিধুকে পাকিস্তানের এজেন্ট বলে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হারসিমরত কৌর বাদল। পাকিস্তান তাকে (সিধু) পুতুলের মতো ব্যবহার করে চলেছে আর তিনি পাকিস্তানের তালে তাল মিলিয়ে নেচে চলেছে বলে জানান তিনি।
প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা সিধুর পাকিস্তান যাত্রা এবং পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। এবার সেই তালিকায় যোগ হলেন শিরোমণি আকালি দল নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হারসিমরত কৌর বাদল। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের নিন্দায় মুখর হয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি তার(সিধু) মধ্যে পাকিস্তান এক নতুন এজেন্টকে খুঁজে পেয়েছে। তাকে হাতের পুতুল হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। পাকিস্তানের ইশারায় সে নেচে চলেছে।
এই ইস্যুতে কংগ্রেস যতই নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলুক না কেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে এই প্রসঙ্গে টেনে এনে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, আমি রাহুল গান্ধীকে প্রশ্ন করতে চাই আপনার দলের একজন মন্ত্রী শত্রু রাষ্ট্রে গিয়ে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। শিখদের ভাবাবেগকে আঘাত করা হয়েছে। এইগুলি কি আপনার ইশারায় হয়েছে? আপনারা কি তার বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেবেন? নাকি হাত গুটিয়ে থাকবেন?
কারাতপুর করিডোর নিয়ে পাকিস্তানের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন সিধু। কংগ্রেসের এই নেতা দাবি করেছিলেন, গুরু নানকের প্রকাশ পর্ব উপলক্ষ্যে কারাতপুর করিডোর খুলে দিতে রাজি পাকিস্তানের প্রশাসন। সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হারসিমরত কৌর বাদল বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি বিদেশমন্ত্রককে চিঠি দিই। চিঠিতে আমি জানাই গোটা বিষয়টি এমন ভাবে দেখানো হচ্ছে যে পাকিস্তান কারাতপুর করিডোর খোলার জন্য সম্মতি দিয়েছেন। বিদেশমন্ত্রক থেকে জানানো হয় এই বিষয়ে পাকিস্তান ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করেননি। অনেকদিন হয়ে গেল সিধু পাকিস্তান থেকে ফিরে এসেছেন। কিন্তু কারাতপুর করিডোর নিয়ে কোনও তথ্যপ্রমাণ তিনি দিতে পারেননি।
পাকিস্তানে গিয়ে সে দেশের সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করার বিষয়ে সিধুর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন হারসিমরত কৌর বাদল। তিনি বলেন, যখন সিধু পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরে এসেছিল তখন তাকে কালো পতাকা দেখানো হয়। কারণ তিনি এমন একজনকে আলিঙ্গন করেছিলেন যিনি দেশের বহু মানুষকে হত্যা করেছে। দেশের মানুষের ভাবাবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন সিধু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *