BRAKING NEWS

বিরোধী কংগ্রেস, সিপিএম ও জোট শরিক আইপিএফটির অনুরোধ সত্বেও নতুন নির্ঘন্ট ঘোষণা করলো না কমিশন, পঞ্চায়েত উপনির্বাচনে ৯৪ শতাংশের বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হচ্ছে বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ সেপ্ঢেম্বর৷৷ সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে শাসক জোট শরিক আইপিএফটি সহ বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিএম ত্রিস্তর

রাজ্য নির্বাচন কমিশনে ডেপুটেশন দিচ্ছে আইপিএফটি৷ ছবি- নিজস্ব

পঞ্চায়েত উপনির্বাচনে নতুন নির্ঘন্ট ঘোষণার দাবি মানেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ তাই, উপনির্বাচনে ৯৪ শতাংশেরও বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হচ্ছে বিজেপি৷

সূত্রের খবর, গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩২০৭টি শূণ্য আসনের সবকটিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি৷ কিন্তু, শাসক জোট শরিক আইপিএফটি সহ বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিএম সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি৷ গ্রাম পঞ্চায়েতে শূণ্য আসনের মধ্যে কংগ্রেস ১২০টি, সিপিএম ১১৫টি, আইপিএফটি ৬৩টি এবং নির্দল ৬ টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছে৷ পঞ্চায়েত সমিতির ১৬১ টি আসনে সবকটিতে বিজেপি প্রার্থী দিতে পেরেছে৷ কিন্তু সিপিএম মাত্র ৮টি, কংগ্রেস ৬টি এবং আইপিএফটি ৬টি আসনে প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন৷ জিলা পরিষদেরও ১৮টি শূণ্য আসনের সবকটিতে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে৷ কিন্তু, একটি আসনে সিপিএম ছাড়া বিরোধী কংগ্রেস এবং শাসক জোট শরিক আইপিএফটি কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯৬ শতাংশ, পঞ্চায়েতে সমিতির ৯৫ শতাংশ এবং জিলা পরিষদের ৯৪ শতাংশ আসনে বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে যাচ্ছে৷

এই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত উপনির্বাচনকে ঘিরে বিরোধীরা সহ শাসক জোট শরিক আইপিএফটি সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে৷ সিপিএম ও কংগ্রেস মনোনয়ন জমা দেওয়ার অন্তিমদিনে নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল৷ বুধবার শাসক জোট শরিক আইপিএফটিও যে আসন গুলিতে প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি ওই আসনগুলির ভোট পিছিয়ে দেওয়া দাবি জানিয়েছে৷

বৃহস্পতিবার আইপিএফটি সহ সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভোটের নতুন নির্ঘন্ট ঘোষণার দাবি জানিয়ে ডেপুটেশন দিয়েছে৷ ডেপুটেশন দেওয়ার পর আইপিএফটির সহ সাধারণ সম্পাদক মঙ্গল দেববর্মা টেলিফোনে জানিয়েছেন, বিজেপি সমর্থকরা বহু আসনে আইপিএফটি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাঁধা দিয়েছে৷ ফলে, সময়মতো আইপিএফটি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি৷ তাই, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোটের নতুন নির্ঘন্ট ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে৷

কিন্তু, রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিরোধী সহ শাসক জোট শরিক আইপিএফটির দাবি মানেনি৷ শুক্রবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের অন্তিম তারিখ৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোটের নতুন নির্ঘন্ট ঘোষণা দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই কমিশনের৷ স্বাভাবিক ভাবেই নির্দিষ্ট সময়ে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷

গত ৪ সেপ্ঢেম্বর রাজ্য নির্বাচন কমিশন ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে শূণ্য আসনে উপনির্র্বচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে৷ ৩০ সেপ্ঢেম্বর রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ ৩ অক্টোবর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে৷ সেই মোতাবেক ১১ সেপ্ঢেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়েছে৷ ১২ সেপ্ঢেম্বর সমস্ত মনোনয়ন পত্র স্ক্রটিনি করা হয়েছে৷

৪২৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩২০৭ টি শূণ্য আসন, পঞ্চায়েত সমিতির ১৬১টি এবং জিলা পরিষদের ১৮টি শূণ্য আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ এই নির্বাচনকে ঘিরে শুরু থেকেই সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে৷ শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং মনোনয়ন জমা দিতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা৷ জোট শরিক আইপিএফটিও একই সুরে সুর মিলিয়েছে৷ কিন্তু, উপনির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ সত্বেও ঘোষিত সময়েই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে যাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ ফলে, শতকরা ৯৪ শতাংশেরও বেশি আসনে জয়ী হচ্ছে বিজেপি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *