চেন্নাই, ৮ আগস্ট (হি.স.): পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হল তামিলনাডুর প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির তামিলনাডুর ঐতিহ্যশালী মেরিনা বিচে আন্না মেমোরিয়ালের কাছে সমাধিস্থকরা হয় তাঁর নশ্বর দেহকে। এদিন করুণানিধিকে সমাধিস্থ নিয়ে প্রথমে জট তৈরি হয় পরে মাদ্রাজ হাই কোর্ট হস্তক্ষেপে জট কাটে, মেরিনা বিচেই সমাধিস্থ করা হয় করুণানিধিকে। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধাজানাতে চেন্নাই পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সারা দেশের প্রথম সারির রাজনীতিবিদরা তামিল কিংবদন্তিকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে প্রয়াত নেতাকে শ্রদ্ধা জানানসোনিয়া গান্ধী ও এম এস স্বামীনাথন। মেরিনা বিচ নিয়ে দ্বিচারিতা করছে রাজ্যসরকার, দাবি ডিএমকে-র আইনজীবী সর্বাননের। অনুগামীদের শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান স্ট্যালিনের, কিন্তু তবুওধ্বস্তাধস্তিতে নিহত হন দুই। করুণানিধির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, এদিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভা ও লোকসভার অধিবেশন।প্রয়াত কিংবদন্তি নেতার শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, বর্ষীয়াল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ গুলাম নবি আজাদ, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু,তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা বীরাপ্পা মইলি। প্রয়াত নেতার পরিবারের তরফ থেকে উপস্থিতছিলেন মেয়ে সেলভি, কানিমোঝি, পুত্র স্ট্যালীন, মুথু এবং মারান ভাইয়েরা। করুণানিধির প্রপৌত্রও এদিন উপস্থিত ছিলেন। প্রয়াত নেতার শরীরে জড়ানো জাতীয় পতাকা খুলে নিয়ে পুত্র তথাডিএমকে-র কার্যকারী সভাপতি স্ট্যালীনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
প্রয়াত তামিলনাডুর আর এক মুখ্যমন্ত্রী সি এন আন্নাদুরাইয়ের স্মৃতিসৌধ আন্না মেমোরিয়্যাল কাছে সমাধিস্থ করা হয় তাঁকে। মেরিনা বিচে করুণানিধিকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান তামিলনাডুররাজ্যপাল বানওয়ারি লাল পুরোহিত। তাঁর আগে প্রয়াত নেতার শেষযাত্রা রাজাজি হল থেকে বিকেল চারটে নাগাদ বেরোয়।
চিকিত্সকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারলেন না দ্রাবিড় রাজনীতির অন্যতম পুরোধা তথা ডিএমকে সুপ্রিমো এম করুণানিধিকে| ঘড়ির কাঁটায় সন্ধ্যা তখন ৬.১০ মিনিট, চেন্নাইয়ের কাবেরীহাসপাতালের তরফে জানানো হয়, চিরনিদ্রায় চলে গিয়েছেন তামিলনাড়ুর পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী মুথুভেল করুণানিধি| চিরকালের জন্য না ফেরার দেশে চলে গেলেন কলাইনার, কিন্তু করুণানিধিকেকোথায় সমাহিত করা হবে তা নিয়ে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায় তামিলনাড়ু সরকার এবং ডিএমকে-র মধ্যে| করুণানিধির পরিবারের তরফে দাবি তোলা হয়, দ্রাবিড় আন্দোলনের নেতাআন্না দুরাইয়ের পাশে মেরিনা বিচেই সমাধিস্থ করা হোক ডিএমকে সুপ্রিমোকে| কিন্তু, আইনি জটিলতা এবং পরিবেশরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় টেনে সেই দাবি করে দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার| বিকল্পহিসেবে গান্ধী মণ্ডপমে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের পাশে করুণানিধিকে সমাধিস্থ করার প্রস্তাব দেয় পালানিস্বামী সরকার| এতেই ক্ষুব্ধ ডিএমকে নেতৃত্ব|
সুবিচারের দাবিতে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ডিএমকে| জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করা হয়| আপাতত এই বিবাদ মেটাতে শুনানি চলছে মাদ্রাজ হাইকোর্টে| মধ্যরাতের শুনানিতেনিজেদের অবস্থান জানানোর জন্য মাদ্রাজ হাইকোর্টের থেকে সময় চেয়েছিল পালানিস্বামী সরকার| আদালত সরকারকে ৭ ঘন্টা সময় দেয়| বুধবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে শুনানি| পরিস্থিতিযাতে অশান্ত না হয়ে ওঠে সে জন্য মেরিনা বিচে আন্না মেমোরিয়ালের বাইরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে|
অবশেষে কাটে জটিলতা| চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচেই সমাধিস্থ হবেন প্রয়াত ডিএমকে সুপ্রিমো তথা তামিলনাড়ুর পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী মুথুভেল করুণানিধি| শুনানি শেষে অনুমতি দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট|নজিরবিহীনভাবে মধ্যরাতে শুনানি শুরু হলেও, তা শেষ হয়নি| বুধবার সকাল আটটা থেকে পুনরায় শুনানি শুরু হয় মাদ্রাজ হাইকোর্টে| দীর্ঘ শুনানি শেষে মাদ্রাজ হাইকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়াহয়, মেরিনা বিচেই সমাধিস্থ করা যাবে এম করুণানিধিকে| ইতিমধ্যেই জেসিবি মেশিন পৌঁছে গিয়েছে মেরিনা বিচে| মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়ে স্বাভাবিকভাবেই মুখ পড়েছে তামিলনাড়ুরএইআইএডিএমকে সরকারের| অন্যদিকে, মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়দানের পরই খুশিতে মেতে ওঠেন ডিএমকে সমর্থকরা| ডিএমকে-র আইনজীবী ভি কন্নড়াসন জানিয়েছেন, ‘মেরিনা বিচে আন্নামেমোরিয়ালেরই পাশেই সমাধিস্থ করা যাবে এম করুণানিধিকে, ডিএমকে-র আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুমতি দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট|’
তামিলনাডু পৌঁছিয়ে প্রধানমন্ত্রী চেন্নাইয়ের রাজাজি হলে পৌঁছিয়ে করুণানিধিকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি ডিএমকে সুপ্রিমোকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই পালানিস্বামী,শোকপ্রকাশ করেছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী পন্নিরসেলভাম| কলাইনারকে শেষশ্রদ্ধা জানানোর পর তামিল মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী বলেছেন, ‘এম করুণানিধির প্রয়াণ তামিলনাড়ু রাজনীতির জন্য একঅপূরণীয় ক্ষতি| ডিএমকে পার্টির সমর্থকদের ও কলাইনারের পরিবারের জন্য আমার গভীর সমবেদনা রইল|’ চেন্নাইয়ের রাজাজি হলে চিরঘুমে শায়িত তামিলনাড়ুর পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী এমকরুণানিধিকে শেষশ্রদ্ধা জানিয়েছেন অভিনেতা রজনীকান্ত ও ধনুশ| পুষ্পস্তবক দিয়ে কলাইনারকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রজনীকান্ত-ধনুশ| এছাড়াও রাজাজি হলে চিরঘুমে শায়িত কলাইনারকেশেষশ্রদ্ধা জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিত, কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চাণ্ডি, ভিসিকে প্রেসিডেন্ট টি থিরুমাভালাভান প্রমুখরা|
প্রয়াত করুণানিধির নশ্বর দেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বুধবার সকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন বিভিন্ন দলের বহু রাজনৈতিক নেতারা। প্রধানমন্ত্রী, তামিলনাডু মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রীরশ্রদ্ধা জানিয়ে যাওয়ার পর করুণানিধিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন আরও বহু নেতারা। অন্যদিকে মেরিনা বিচে করুণানিধির নশ্বর দেহকে সমাধিস্থ রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে পিটিশন দায়েরকরেছিলেন ট্রাফিক রামাস্বামীর। আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
এদিন প্রয়াত তামিলনাডুর পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা এম করুণানিধিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে চেন্নাইয়ের রাজাজি হলে উপস্থিত ছিলেন তেলেঙ্গার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, কংগ্রেসসভাপতি রাহুল গান্ধী, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, কেরলের রাজ্যপাল পি সাথাশিবম, কংগ্রেস নেতা রমেশচেন্নিথালা, প্রাক্তন এআইএডিএমকে নেতা টি টি ভি দিনাকরণ, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আব্দুল্লা, বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, কংগ্রেসনেতা প্রফুল্ল প্যাটেল পুষ্পস্তবক দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান। ভিভিআইপি রাজনীতিবিদ ছাড়াও কয়েক লক্ষ সাধারণ মানুষ এদিন চেন্নাইয়ের আন্না সালার রাজাজি হল চত্বরে প্রিয় নেতার নশ্বর দেহদেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। এমনকি কয়েকজন পাঁচিল টপকে প্রয়াত নেতাকে শেষ দেখার চেষ্টা করেন। কোয়েম্বাটুরে করুণানিধির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে মাথার চুল কামিয়ে ফেলেন কয়েকজন সমর্থক।
অন্যদিকে, মেরিনা বিচে করুণানিধির সমাধিস্থ করা রুখতে মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দেয় ট্রাফিক রামাস্বামী। তার সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছেসুপ্রিম কোর্ট।
করুণানিধি মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। করুণানিধি আমার কাছে পিতৃতুল্য ছিলেন। মাইক্র ব্লোগিং সাইট ট্যুইটারে এমনই জানালেন সোনিয়াগান্ধী।বুধবার মাইক্র ব্লোগিং সাইট ট্যুইটারে করুণানিধি পুত্র এম কে স্ট্যালীনকে উদ্দেশ্য করে লেখা খোলা চিঠিতে সোনিয়া গান্ধী লিখেছেন, ভারত তথা তামিলনাডুর রাজনীতি এবং সমাজসেবায় করুণানিধিএকজন স্তম্ভ ছিলেন। তার বৈচিত্রময় জীবনে তিনি সামাজিক ন্যায় এবং সাম্যের হয়ে লড়াই করেছিলেন। প্রান্তিক, গরিব মানুষদের উন্নয়ন, বৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধর জন্য কাজ করে গিয়েছিলেন।তামিলনাডুর সংস্কৃতি ও শিল্পকলার প্রতি তাঁর অবদান ভোলার নয়। তাঁর অসামান্য কাজের জন্য মানুষের মনের মধ্যে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।ব্যক্তিগত ভাবে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। তিনি আমার কাছে পিতৃতুল্য ছিলেন। তিনি আমাকে দয়া দেখিয়েছিলেন যা আমি কোনওদিন ভুলব না। তাঁর বিজ্ঞ জ্ঞাণের অভাব বোধ করবেআমাদের দেশ।
শ্রদ্ধার সঙ্গে করুণানিধির স্মৃতিচারণা করলেন কৃষি বিশেষজ্ঞ তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ এম এস স্বামীনাথন। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ট্যুইট করে প্রয়াত ডিএমকের প্রধানকে শ্রদ্ধাজানান তিনি।
বিজ্ঞানের সঙ্গে তামিল সাহিত্যের সংমিশ্রণ ঘটিয়েছিলেন তিনি। ২০১০ সালে বিশ্ব তামিল সম্মেলনে জেনেটিক্স বিজ্ঞানের সাহায্যে উদ্ভিত কেন্দ্র গড়ে তোলার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সঙ্গমসাহিত্যে বর্ণিত উদ্যনের মতো এই কেন্দ্রগুলি গোড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। এদিন ট্যুইটে এমনই লিখেছেন এম এস স্বামীনাথন।
ট্যুইটে তিনি আরও লিখেছেন, ড. এম করুণানিধি বৈজ্ঞানিকদেরও বৈজ্ঞানিক ছিলেন। আন্না বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেট বায়োটেকনলজি কাউন্সিল, ওম্যান বাওটেকনোলজি পার্ক গড়ার ক্ষেত্রে তাঁর অনেকঅবদান রয়েছে। খাদ্য সুরক্ষা এবং পুষ্টি নিরাপত্তা তামিলনাডুতে নিশ্চিত করার জন্য ১৯৯০ সালে ‘হাংগার-ফ্রি এরিয়া প্রগ্রাম’ কর্মসূচী গ্রহণ করেছিলেন। ভারত ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট গ্রহণ করারঅনেক আগেই এই পদক্ষেপ করেছিলেন তিনি। বৈজ্ঞানিকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন তিনি। তিনি একজন মহান তামিল পন্ডিত ছিলেন। বিজ্ঞানের স্বপক্ষে ছিলেন। চিরস্থায়ী উন্নয়নের পক্ষে লড়েগিয়েছেন করুণানিধি।
মেরিনা বিচে বিতর্কে উত্তপ্ত তামিলনাডুর রাজনীতি। এক্ষেত্রে রাজ্যের শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ডিএমকের আইনজীবী সর্বানন। এআইএডিএমকে দ্বিচারিতা করছে বলে দাবি করেছেনতিনি।
বুধবার সর্বানন বলেন, এআইএডিএমকে সরকারের সাহস নেই যে তারা বলবে এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আইনি খুঁটিনাটির আড়ালে তারা লুকোতে চাইছে। গতকাল আদালতের ভেতর তাদের মুখোশআমরা খুলে দিয়েছি। রাজ্যসরকার দ্বিচারিতা করছে।
ডিএমকের দায়ের করা এই মামলায় বিপন্ন বোধ করছেন মুখ্যমন্ত্রী এডাপ্পাডি কে পালানিস্বামী। সরকার জয়ললিতার স্মৃতিসৌধ গড়ার জন্য ৩৪০০-৩৫০০ স্কোয়ার ফুট ভবনের প্রস্তাব করেছে। কিন্তুকরুণানিধির জন্য ছয় ফুট জমি দিতে নারাজ প্রশাসন। আইনি বিধান বিরোধিতা করছে তারা।
অন্যদিকে এআইএডিএমকে তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৯৬ সালে করুণানিধি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন প্রোটোকল মেনে প্রয়াত জানকি রামচন্দ্ররনের স্মৃতিসৌধের জন্য জমি বরাদ্দকরেননি তিনি।
অতিরিক্ত ভিড়ে পদপিষ্ট ও ধ্বস্তাধস্তিতে প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন সমর্থক। গুরুতর আহত হয়েছেন ৩৩জন। দলীয় কর্মীদের শান্ত ও সংযত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন এম কে স্ট্যালিন।পাশাপাশি বিশৃঙ্খলার জন্য রাজ্যের শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি।
এদিন চেন্নাইয়ের রাজাজি হলে এম কে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, দলীয় কর্মী এবং অনুগামীদের শান্ত ও সংযত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। যারা ক্ষমতায় রয়েছে তারা হাঙ্গামা তৈরি করার প্রচেষ্টাচালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দলীয় কর্মীদের জন্য তারা সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমি সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। পাশাপাশি অনুগামীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন বিকেল চারটে নাগাদকরুণানিধির শেষযাত্রা বেরোবে। সেই জন্য অনুগামীদের রাস্তায় ভিড় না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু করুণানিধিকে শেষ দেখা দেখতে এসে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন।পাশাপাশি গুরুতর আহত ৩৩। প্রয়াত নেতার কফিনে লেখা ছিল, ‘বিশ্রামহীন ভাবে যে ব্যক্তি কাজ করে গিয়েছেন। এখন তিনি বিশ্রাম পেলেন।’
তামিলনাড়ুর প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুথুভেল করুণানিধির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য দিনের মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভা এবং লোকসভার অধিবেশন| মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬.১০ মিনিট নাগাদ চেন্নাইয়েরকাবেরী হাসপাতালে জীবনাবসান হয়েছে ডিএমকে সুপ্রিমো এম করুণানিধির| তামিলনাড়ুর পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত এম করুণানিধির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতুবি রাখাহল রাজ্যসভা ও লোকসভার অধিবেশন| প্রসঙ্গত, আগামী শুক্রবার, ১০ আগস্ট শেষ হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন|