BRAKING NEWS

গ্রাম পাহাড়ে নানা কাজের তীব্র খরা

১৮ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছিল৷ তবে এ খরা প্রকৃতি প্রদত্ত তাপদগ্দের কারণে নয়৷ প্রকৃতির খরায় বিশেষভাবে ক্ষতির শিকার হয় প্রত্যক্ষভাবে রাজ্যের চাষিরা৷ তাদের জীবিকায় টান পড়ে৷ চাষিরা আল্লা মেঘ দে, পানি দে বলে আর্ত চিৎকার করে উঠে৷ কিন্তু, নির্বাচনের আগে থেকেই রাজ্যে যে খরার সৃষ্টি হয়েছে তাতে রাজ্যের খেটে খাওয়া গরীব অংশের মানুষদের জীবিকায় টান পড়েছে৷ এমন খরা রাজ্যের সমতল থেকে শুরু করে পাহাড়েও দেখা দিয়েছে৷ নির্বাচনের প্রায় তিন মাস আগে থেকেই রাজ্যজুড়ে এমন কৃত্রিম খরা শুরু হয়৷ তখন সকলে ভেবেছিল নির্বাচনের পর আর এ খরা থাকবে না৷ কিন্তু, ভাবনা – ভাবনাতে রয়ে গেল৷ সরকারের পরিবর্তন হল৷ বিজেপি জোট সরকার ক্ষমতায় এল৷

নতুন বিজেপি জোটের ক্ষমতা গ্রহণ করার পর সবকিছু গুছিয়ে নেয়া আজও সম্ভব হয়নি৷ এ না হওয়াটা স্বাভাবিক৷ কেননা, বিগত বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যকে কোন্ অবস্থায় রেখে গেছে তা দেখতে দেখতেও বেশ কিছুটা সময় কেটে যাবে৷ এ ছাড়াও দেখা দিয়েছে আর একটা নতুন বিপত্তি৷ তা হল রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নিয়ে সমস্যা৷ বিজেপি জোট সরকার গঠন করলেও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পরিষদ, নগর পঞ্চায়েত, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটিগুলি ছিল বামফ্রন্টের দখলে৷ সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতেও নেমে আসে স্থবিরতা৷ বামফ্রন্টের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নানাভাবে হয়রানির মুখে ফেলছে নতুন সরকারকে৷ ফলে গ্রাম পাহাড়ে দেখা দিয়েছে কাজের খরা৷ এমন খরা এখন রেগা শ্রমিক থেকে শুরু করে অন্যান্য শ্রমিকদের বেকায়দায় ফেলেছে৷ এখনও রাজ্যজুড়ে রেগার কাজে গতি আসেনি৷ উন্নয়নমূলক কাজ থমকে আছে৷ চারিদিকে দেখা দিয়েছে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি৷ রাজ্যের নতুন সরকার বারবার বলছে যে, কাজের জন্য টাকার অভাব হবে না৷ কিন্তু, দেখা দিয়েছে কাজের অভাব৷ কেননা, জনপ্রতিনিধিরা অনেকটা ঘরে বসে আছে৷ বামফ্রন্ট সরকারের পতনের পর তারাও হতাশ হয়ে পড়ে৷ অনেকে আবার নিজেদের কৃত কর্মের জন্য ঘরবন্দি হয়ে পড়ে৷ জনতার রোষ হতে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে৷ এমন পরিস্থিতিতে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের কাজকর্ম যে মুখ থুবড়ে পড়বে তা স্বাভাবিক৷ অবিলম্বে এমন কাজের খরা কাটিয়ে উঠার জন্য বিজেপি জোট সরকারকে যথাসম্ভব পদক্ষেপ নিতে হবে৷ বিশেষ করে রেগা নির্ভর গ্রাম পাহাড়ে৷ তাই যত তাড়াতাড়ি রেগার কাজে গতি আনা যাবে ততই মঙ্গল৷ প্রয়োজনে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতকে ঢেলে সাজানোর৷ কেননা, বর্তমানে যারা আছেন তারা আপাদমস্তক বামমার্গী৷ তারা চাইবে না যে, নতুন সরকার মসৃন গতিতে এগিয়ে যাক৷ তবে আশা করা হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর গ্রাম পাহাড়ে পুরোদমে রেগাসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের গতি আসবে৷ হয়তোবা সেই সময়টুকু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *