BRAKING NEWS

দীর্ঘ জল্পনার অবসান, কর্ণাটকের ২৩ তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা

বেঙ্গালুরু, ১৭ সে (হি.স.): দীর্ঘ জল্পনার অবসান| কর্ণাটকের জনতাকে বি এস ইয়েদুরাপ্পা কথা দিয়েছিলেন ১৭ মে, বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নেবেন| আর নিজের দেওয়া সেই কথা রাখলেনও বটে| মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্টে বেনজির শুনানির পর, বৃহস্পতিবার সকালেই কর্ণাটকের ২৩ তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করলেন কৃষক দরদী নেতা হিসেবে পরিচিত বি এস ইয়েদুরাপ্পা| বৃহস্পতিবার তৃতীয়বারের জন্য কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করলেন পঁচাত্তরের কৃষক দরদী নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা| বৃহস্পতিবার সকালে রাজভবনে ইয়েদুরাপ্পাকে কর্ণাটকের ২৩ তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল ভাজুভাই ভালা|
বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে বুধবার রাত ন’টা নাগাদ চিঠি পাঠান কর্ণাটকের রাজ্যপাল ভাজুভাই ভালা| কর্ণাটকে সরকার গড়তে বিজেপিকে আমন্ত্রণে, রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস ও জনতা দল (সেক্যুলার)| আবেদন ছিল দু’টি, প্রথমত বৃহস্পতিবারের শপথগ্রহণের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক| দ্বিতীয়ত, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ইয়েদুরাপ্পাকে যে ১৫ দিন সময় দিয়েছেন রাজ্যপাল, তা কমানো হোক| আর্জির গুরুত্ব বিবেচনা করে মধ্যরাতেই শুনানিতে রাজি হয় সর্বোচ্চ আদালত| প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর সঙ্গে কথা বলার পর, রাত দেড়টা নাগাদ শীর্ষ আদালতে আসেন তিন বিচারপতি, যথাক্রমে অর্জন কুমার সিক্রি, শরদ অরবিন্দ বোবদে ও অভয় মনোহর সাপ্রে| প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে শুনানি চলার পর, সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, বি এস ইয়েদুরাপ্পা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেও সরকার গঠন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে মামলার শুনানি শেষে| শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে|
মধ্যরাতের নাটক শেষে, বৃহস্পতিবার সকালে কর্ণাটকের ২৩ তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করলেন কৃষক দরদী নেতা হিসেবে পরিচিত বি এস ইয়েদুরাপ্পা| ঘড়ির কাঁটায় সকাল তখন ৮.৪০ মিনিট হবে, এই সময় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইয়েদুরাপ্পা| সাড়ে ন’টার আগেই ইয়েদুরাপ্পাকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল ভাজুভাই ভালা| ইয়েদুরাপ্পা শপথ নিলেও, রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কিন্তু শেষ এখনও হল না| বৃহস্পতিবার কর্ণাটক বিধানসভা চত্বরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কংগ্রেস ও জেডি (এস)| উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, অশোক গেহলট এবং সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া| রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তাঁরা বলেছে, সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় সংখ্যা থাকলেও, তাঁদের সরকার গড়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি| কংগ্রেস ও জেডি (এস)-এর আশঙ্কা, ১৫ দিন সময় পেয়ে যাওয়ায় তাঁদের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে বিজেপি| আক্ষেপ প্রকাশ করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘ভারতীয় সংবিধান নিয়ে উপহাস করল বিজেপি| অন্তঃসারশূণ্য বিজয় নিয়ে যখন উত্সব পালন করছে বিজেপি, সেই সময় দেশের মানুষ কিন্তু গণতন্ত্রের উপর আঘাতের ঘটনায় শোকপালন করছে|’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *