BRAKING NEWS

ঋতব্রতর বহিষ্কারে সিলমোহর সিপিএম পলিটব্যুরোর

ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়৷

কলকাতা, ১৫ সেপ্টেম্বর (হি. স.): সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধায়কে বহিষ্কার তত্ত্বে শুক্রবার সিলমোহর লাগাল সি পি এমের পলিটব্যুরো। তাকে গত বুধবার সি পি এম দল থেকে বহিষ্কার করে।শুক্রবার সেই বহিষ্কারের কথা স্বীকার করে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানান, গুরুতর পার্টি বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ঋতব্রত বন্দ্যোপাধায়কে পার্টির গঠণতন্ত্রের ১৯ (১৩) ধারা অনুযায়ী প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর তা অনুমোদন করেছে পার্টির পলিটব্যুরো।
শুক্রবার সূর্যকান্ত মিশ্র জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর, পার্টির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সি পি এম পলিটব্যুরো এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ঋতব্রত বন্দ্যোপাধায়কে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে পার্টির রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে সতর্ক করে হয়। পরবর্তী সময়ে আরও অনেক গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে পার্টির রাজ্য কমিটির সভায় তাঁকে তিন মাসের জন্য সভার সভ্য পদ থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে তিন সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো নিয়ে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের রিপোর্ট পেশ করে এবং তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাকে চার্জশিট দেওয়া হয়।
সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, বারবার তাকে সংশোধনের চেষ্টা করেও তা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি নিজেকে সংশোধন না করে পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার কাজ চালিয়ে গেছেন। কমিশনের রির্পোটের ভিত্তিতে ৭-৮ আগস্ট রাজ্য কমিটির সভা থেকে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধায়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির গোচরে আনা হয়। পরবর্তী শাস্তিমূলক সিদ্ধান্তের বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটির বিবেচনাধীন ছিল। এই অবস্থায় গত ১১ সেপ্টেম্বর ঋতব্রত বন্দ্যোপাধায় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারের নামে প্রকাশ্যে পার্টিকে হেয় করার চেষ্টা করেন। তার ভিত্তিতেই রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *