নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ জুন৷৷ স্বস্তি পেলেন বিজ্ঞান স্নাতক শিক্ষকরা৷ উচ্চ আদালত তাঁদের চাকুরীতে বহাল রাখার রায় দিয়েছে৷ পাশাপাশি খুশী মামলাকারীদের মধ্যে দশ জনও৷ কারণ খুব শীঘ্রই আদালতের নির্দেশে তাঁরাও চাকুরী পাবেন৷ বিজ্ঞান স্নাতক শিক্ষক মামলায় মুখ পুড়ার হাত থেকে বেঁচে গেলেও মামলাকারীদের মধ্যে যোগ্যতা সম্পন্ন বিজ্ঞান স্নাতকদের আগামী ছয় মাসের মধ্যে শিক্ষা দপ্তর কিংবা অন্য কোন সরকারী দপ্তরে নিয়োগের জন্য নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত৷
শুক্রবার উচ্চ আদালতে মাননীয় বিচারপতি শুভাশিষ তলাপাত্রের সিঙ্গল বেঞ্চ বিজ্ঞান স্নাতক শিক্ষক মামলায় রায় দিয়েছেন৷ রায়ে তিনি বলেছেন, বিজ্ঞান স্নাতক শিক্ষকদের চাকুরী বহাল থাকবে৷ তবে, মামলাকারীদের মধ্যে যোগ্যতা সম্পন্ন দশ জনকে চাকুরী দিতে হবে রাজ্য সরকারকে৷ তিনি রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে মামলাকারীদের মধ্যে যোগ্যতা সম্পন্ন দশ জন বিজ্ঞান স্নাতকদের শিক্ষা দপ্তর অথবা অন্য কোন সরকারী দপ্তরে নিয়োগ করতে হবে৷ উচ্চ আদালতের এই রায়ে খুশীর হাওয়া সর্বত্র৷ হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে রাজ্য সরকারও৷
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বিজ্ঞান স্নাতক শিক্ষক পদে ১০০০ জনকে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার৷ তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ণ তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন চৌদ্দ জন চাকুরী বঞ্চিত৷ কিন্তু, মামলা চলাকালীন মামলাকারীদের মধ্যে দুইজন সরকারী চাকুরী পেয়ে যান৷ বাকি বার জন দীর্ঘদিন ধরে রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন৷ সম্প্রতি উচ্চ আদালতে মামলাটির শুনানি শুরু হয়৷ গত ৩০ মে মামলার শুনানির ধার্য্য হলেও জনৈক আইনজীবী প্রয়াত হওয়ায় সেদিন শুনানি হয়নি৷ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য হয় ৮ জুন৷ যথারীতি বৃহস্পতিবার এই মামলার আংশিক শুনানি হয়৷ আজ চুড়ান্ত শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়৷
শুক্রবার উচ্চ আদালতে বাদি এবং বিবাদি পক্ষের বক্তব্য শুনার পর মাননীয় বিচারপতি এই মামলায় রায় দেন৷ আদালতে বার জন মামলাকারীদের মধ্যে দু’জনের বিজ্ঞান স্নাতক শিক্ষক পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই বলে প্রমাণিত হয়৷ বাকি দশজন শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়ায় আদালত তাদেরকে চাকুরী দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন৷ শিক্ষা দপ্তর কিংবা অন্য কোন সরকারী দপ্তরে আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাদের নিয়োগ করতে হবে৷ পাশাপাশি যাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ণ তুলে মামলাটি হয়েছিল, আদালত এদিন তা খারিজ করে দেন৷ আদালত তাঁদের চাকুরীতে বহাল রাখার রায় দিয়েছে৷