নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ৪ জুন৷৷ হাসপাতালে কর্তব্যরত এক নার্সের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল গোলাঘাটির দয়ারাম পাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে৷ শুক্রবার রাতে দয়ারাম পাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডা স্বতীর্থ দাস গুপ্তের সঙ্গে স্টার্ফ নার্স জীবন দেববর্মা(২৭) এবং জিডিও রাধারাণী দেববর্মা এবং সাফাইকর্মী অনিতা দেববর্মা একই সাথে ডিউটিতে ছিলেন৷ রাত দশটায় ডা দাশ গুপ্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের শেষবারের মতো দেখে কোয়াটারে চলে যান৷ অন্যান্য তিনজন কর্মীও ডিউটিতে ছিলেন৷ যদি কোন রোগীর কিছু সমস্যা হয় ডাক্তারকে ঢাকার জন্য বলেন৷ খাবার শেষে কর্মীরা ঘুমিয়ে পড়েন৷ হঠাৎ করে রাত একটার সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় তিনজনই ওঠে সোলার লাইট সংযোগ করেন হাসপাতালে৷ আবার যার যার স্থানে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তারা সকলেই৷ কিন্তু সকাল পাঁচটার সময় রাধারাণী ও অনিতা দুজনেই ঘুম থেকে উঠেছে৷ কিন্তু জীবন আর ঘুম থেকে ওঠেনি৷ অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর না ওঠায় তাদের সন্দেহ হয়৷ তাছাড়া ঘর পরিষ্কার করতে হবে এজন্য বার বার ডাকতে থাকেন, সাড়া না পেয়ে গায়ে ধাক্কা দিয়ে জাগানোর চেষ্টা করেও ল াভ হ য়নি৷ সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার স্বতীর্থ দাসগুপ্তকে ডেকে আনেন৷ চিকিৎসক পরীক্ষানিরীক্ষা করে বলেন জীবন বেঁচে নেই৷ সাতাশ বছরের যুবক নতুন চাকুরি পেয়েছে৷ বাড়ি কোনাবন এলাকায়৷ কেবিন থেকে উদ্ধার হয় সাতাশ বছরের জীবন দেববর্মা নামে এক স্টার্ফ নাসের দেহ৷ হাসপাতালের মধ্যে থেকে নার্সের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়৷ জীবনের পরিবারের অসুস্থ মা এবং একমাত্র বোনকে নিয়ে কোনাবন থাকেন৷একমাত্র ভরসা চাকুরী৷ কিন্তু তার এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেউ মেনে নিতে পারছে না৷ গত জানুয়ারি মাসে নতুন অফার পেয়ে চাকুরিতে যোগ দিয়ে শুধু একমাসের বেতন পেয়েছিল জীবন দেববর্মা৷ ঘটনা দুঃখজনক, জীবনের মৃত্যু ঘিরে গোটা হাসপাতাল চত্বর ও কোনাবনের নিজ এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে৷ তাছাড়া ঘটনাস্থলে টাকারজলার পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেন৷ পরে জীবনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাকারজলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷