নয়াদিল্লি, ৪ জুন (হি.স.) : এবার মুখোমুখি যুদ্ধে দেখা যাবে মহিলা সেনাকর্মীদের। রবিবার এ কথা জানালেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। তিনি বলেন, “জওয়ান পদে মহিলাদের নিয়োগ করা হবে। প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনীর পুলিশ বিভাগে নেওয়া হবে মহিলাদের। আমি মহিলাদের জওয়ান হিসেবে নিয়োগ করতে প্রস্তুত। বিষয়টি এখন কেন্দ্রের বিবেচনাধীন রয়েছে।” এতদিন মহিলারা সেনাবাহিনীতে কাজ করলেও মুখোমুখি যুদ্ধের সুযোগ শুধু পুরুষদেরই একচেটিয়া ছিল। এবার উঠতে চলেছে সেই বিভেদ।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সেনা প্রধান বলেন, আমি মহিলাদেরও জওয়ান হিসেবে দেখতে চাই। তার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে সেনা পুলিশ হিসেবে তাঁদের নিয়োগ করা হবে। যদিও সেনাবাহিনীতে মহিলাদের নিয়োগ এই প্রথম নয়। এতোদিন চিকিৎসা, আইন, শিক্ষা, সিগন্যাল বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের নিয়োগ করেছে সেনাবাহিনী। তবে যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত এই প্রথম। সরকারের সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, মহিলারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের যোগ্যতা সাফল্যের সঙ্গে প্রমাণ করেছেন। আমি চাই সেনাবাহিনীতেও নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করুন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, সেনা পুলিশের কাজে কিছু নির্দিষ্ট পরিসর রয়েছে। সেনা ক্যান্টনমেন্ট ও সেনা সম্পত্তির নজরদারি করা, জওয়ানরা কোনও অনিয়ম বা নিয়ম ভাঙছেন কিনা তার উপর নজর রাখা, জওয়ানদের গতিবিধি কী হবে তা ঠিক করা, যুদ্ধ বন্দীদের নজরে রাখা এবং সিভিল পুলিশকে সহযোগিতা করা। গত বছর ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে তিন মহিলাকে ফাইটার পাইলট হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। নৌ বাহিনীতেও মহিলাদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে নৌ বাহিনীতে মহিলারা আইন, নৌ স্থাপত্য ও ইঞ্জিনিয়র পদে কাজ করে থাকে।
হাতে গোনা কয়েকটি দেশ ছাড়া কোথাও মহিলাদের সরাসরি যুদ্ধে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় না কারণ যুদ্ধবন্দি হলে তাঁদের ওপর অকথ্য অত্যাচার হতে পারে। যে দেশগুলি সুযোগ দেয়, তারা হল, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকা, ব্রিটেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, নরওয়ে, সুইডেন ও ইজরায়েল। এবার ভারতও সেই পথে হাঁটতে চলেছে।-