BRAKING NEWS

মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে উৎসব ও মেলা ঘিরে ব্যাপক উদ্দীপনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া/ কৈলাসহর, ১৩ জানুয়ারী৷৷ মকর সংক্রান্তি মেলা চাকমাঘাট, আজ মিলনমেলায় পরিণত জাতি উপজাতির মধ্যে৷

তেলিয়ামুড়ার চাকমাঘাটে মকর সংক্রান্তি উৎসব ও মেলা ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ৷ ছবি নিজস্ব৷
তেলিয়ামুড়ার চাকমাঘাটে মকর সংক্রান্তি উৎসব ও মেলা ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ৷ ছবি নিজস্ব৷

ত্রিপুরা রাজ্যের পূণ্যার্থীদের জন্য আরো একটি উন্মুক্ত স্থল হল চাকমাঘাট৷ ছোট পরিসরে শুরু হওয়া চাকমাঘাটের পৌষ সংক্রান্তি মেলা আজ রাজ্যের মধ্যে একটি অন্যতম স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে৷ বিগত কিছুদিন ধরেই চাকমাঘাটের ব্রীজ সংলগ্ণ স্থানে শুরু হয়েছিল মকর সংক্রান্তি মেলার তোড়জোড় প্রস্তুতি৷ আজ দুপুর ৩ঘটিকায় মৎস্য ও সমবায় দপ্তর ও অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরের মন্ত্রী খগেন্দ্র জমাতিয়ার হাত ধরে শুভারম্ভ হয় চাকমাঘাটের মেলার৷ মন্ত্রী খগেন্দ্র জমাতিয়া দ্বারা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়িকা গৌরী দাস, মণীন্দ্র চন্দ্র দাস, জেলাশাসক মহকুমা শাসক, তিনটি ব্লকের ব্লক আধিকারিক মহকুমা পুলিশ আধিকারিক লাকি চৌহান সহ অনেকে৷
এই মেলাকে কেন্দ্র করে সারা রাজ্যের প্রত্যেকটি প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ শহরের লোকজন ভিড় জমায়৷ এই মেলা প্রাঙ্গণে অবস্থানরত খোয়াই নদীর জলে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ স্থান করতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে প্রচুর মানুষ৷ সরকারি-বেসরকারি দপ্তর থেকে মেলার সৌন্দর্য রক্ষায় খোলা হয় প্রচুর স্টল, প্রত্যেকটি স্টলকেই মেলায় আসা অতিথিরা ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন৷ এছাড়াও নদীর ঐপারে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দোকানিরা পসরা সাজিয়ে বসেছে ব্যবসার উদ্দেশ্যে৷ এই মেলার আনন্দ এতই হয় যে নদীর তীরে কনকনে শীতল হাওয়াও যেন জনগণের কাছে হার মানে৷ এই প্রবল শীতকে উপেক্ষা করেই হাজারো পূণ্যার্থীরা ভিড় জমায় মেলাপ্রাঙ্গণে৷ এছাড়াও তথ্য সংসৃকতি দপ্তরের উদ্যোগে দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জন দিতে সরকারিভাবে সারারাতব্যাপী নাচ, গান নাটকের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ মেলার উদ্বোধনী পর্বে আলোচনা করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, একদিনের সন্ত্রাস দীর্ণ চাকমাঘাটে যেন এক শান্তিসম্প্রীতির মিলন মেলায় তৈরি হয়েছে৷ আগামীদিনেও যাতে করে এই ধরনের পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে তার জন্য ভাষণ রাখতে গিয়ে জনগণের কাছে আহ্বান রাখেন মন্ত্রী খগেন্দ্র জমাতিয়া৷
এদিকে, আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছে কৈলাসহরের ঊনকোটিতে মকর সংক্রান্তি মেলা৷ রাজ্য এবং বর্হিরাজ্য থেকে অনেক পূর্ণ্যার্থী গতকাল থেকে আশা শুর করেছিলেন৷ আজও অকে পূর্ণ্যার্থী এসেছেন৷ তাদের সর্বপ্রকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন কৈলাসহর মহকুমা প্রশাসন, তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তর এবং গৌরনগর, চন্ডীপুর দুই ব্লক৷ প্রতিবছর এদিনে সেখানে মেলা হয়৷ বছরের দুইবার বসে৷ চৈত্র সংক্রান্তি ও পৌষ সংক্রান্তিতে মকর সংক্রান্তি মেলা৷ আজ গভীররাত্রে পূর্ণস্নান করবেন৷ কৈলাসহর মহকুমা প্রশাসন তথ্য দপ্তর ও চন্ডীপুর গৌরনগর ব্লকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আজকের এই মেলা অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গৌরনগর ব্লকের ভাইসচেয়ারম্যান ইনুজ মিয়া খাদিম৷ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৈলাসহর পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনীষ সাহা৷ উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসকের প্রতিনিধি ডি সি এম অর্গ সাহা প্রমুখ৷ ত্রিপুরা তথা ভারতের এই বিশাল ঐতিহ্যকে রক্ষা ও ঊনকোটিকে আর এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রস্তাব ও সর্বপ্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রধান করেন উপস্থিত অতিথিরা৷ দেশ বিদেশের প্রচুর সাধু সন্ন্যাসী ঊনকোটিতে এসেছেন তা লক্ষ করা গেছে৷
এদিকে, কৈলাসহর কালিবাড়ি রোডে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে বিশাল মেলা বসেছে৷ ৫-৬ শতাধিক ব্যবসায়ী তাদের পসরা নিয়ে গেছেন সেখানে বিকাল চারটা থেকে রাত্র ১২টা পর্যন্ত প্রতিবছর সেখানে মেলা বসে৷ এবার এইমেলা একশত চারবছরে পা দিয়েছে৷ ঐ সময় সেখানে কালিবাড়ি স্থাপন হবার পর থেকে কালিবাড়িকে কেন্দ্র করে মেলা শুরু হয়েছিল ঐ সময়৷ আজ একশত চার বছরে পা দিচ্ছে কৈলাসহরের মকর সংক্রান্তির ঐ যাওয়ার মেলা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *