নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ মে৷৷ সালেমা ব্লকের অধীন একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিচালনা নিয়ে অভিযোগ উঠছে৷ কোনো কোনো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত চাল, ডাল দেওয়া হচ্ছে না আবার কোনো কোনো কেন্দ্রে অতিরিক্ত দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ উদাহরণ হিসেবে উত্তর বাবু ছড়া পঞ্চায়েতের মহেন্দ্র শিশু বিহারের উল্লেখ করতে হয়৷ এই কেন্দ্রের শিশুর সংখ্যা ৩৬ জন, মা ও প্রসূতির সংখ্যা ১৯ জন৷ প্রতিমাসে চাল ডালের দরকার ১৬০ কেজি৷ কিন্তু দেখাযায় সালেমা সিডিপিও অফিস থেকে দেওয়াহচ্ছে ৪০৯০ কেজি৷ সেক্ষেত্রে প্রশ্ণ কিবাবে ঘাটতি পূরণ হবে৷ শুধু তাই নয় এই কেন্দ্রে আরো বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে৷ বিশেষ করে মহেন্দ্র শিশু বিহারের সামনের অংশে বাউন্ডারি ওয়াল রয়েছে৷ কিন্তু দেখা যায় পিছনের অংশে কোনো বাউন্ডারি ওয়াল নেই৷ যদিও পিছনে রয়েছে একাধিক জলোচ্ছ্বাস৷ যে কোনো সময়ে শিশুরা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে৷ এব্যাপারে দপ্তরের কোনো হেলদোল নেই৷ মহেন্দ্র শিশু বিহারে গিয়ে বেশ কিছু শিশুকে দেখা গেছে৷ কিন্তু বিপরীত দৃশ্য দেখা যায় এই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আমিন টিলা শিশু বিহারে৷ সংলগ্ণ ইট ভাট্টার শ্রমিকেরা গত মাসে চলে যাওয়াতে শিশুর সংখ্যা কমে এসেছে৷ এই শিশু বিহারে গিয়ে একজন ছাত্রকে পাওয়া যায়নি দিদিমণিও ছিলেন অনুপস্থিত৷ ছুটিতে আছেন বলে রাঁধুনি জানিয়েছেন৷ এখন প্রশ্ণ উঠছে শিশুরা অনুপস্থিত থাকলেও বরাদ্দ চাল, ডাল কোথায় যায়৷ কিন্তু দেখা যায় মহেন্দ্র শিশু বিহারের পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাল, চাল না পাওয়ায় শিশু ও প্রসূতি মায়ের খিচুড়ি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দিদিমণি৷ আর এদিকে পাশাপাশি আমিনটিলা সুকলের ছাত্র নেই তবুও পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল, ডাল প্রদান করছে দপ্তর৷ সে বিষয় নিয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এলাকায়৷