BRAKING NEWS

হাওড়া নদীর চর সৌন্দর্যায়নে গৃহীত প্রকল্প খোঁজখবর নিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল রাজ্যে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ মে৷৷ আগরতলায় হাওড়া নদীর দুটি চরের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে ৷ সেই সূত্রে খোঁজখবর নিতে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক এবং বিনিয়োগকারী ফরাসি সংস্থার পাঁচজনের এক প্রতিনিধিদল আজ রাজ্যে এসেছেন ৷ এ-বিষয়ে আগরতলা পুর নিগমের কমিশনার ড় শৈলেশকুমার যাদব জানিয়েছেন, কেন্দ্র-রাজ্যের অর্থানুকূল্যে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে ৷ শহর সৌন্দর্যয়নের লক্ষ্যেই এই প্রকল্পটি শুরু হচ্ছে ৷


পুর কমিশনার জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন রিভারফ্রন্ট প্রকল্পের মতোই হাওড়া রিভারফ্রন্ট প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে ৷ তাঁর বক্তব্য, দেশে সবরমতি রিভারফ্রন্ট, গোমতি রিভারফ্রন্ট উন্নয়ন প্রকল্প ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ৷ ত্রিপুরায় হাওড়ার চর ব্যবহার করে শহর সৌন্দর্যায়নের চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছিল ৷ রাজ্যে নতুন সরকার গঠন হওয়ার পর হাওড়া রিভারফ্রন্ট ডেভেলপমেন্টকে স্মার্টসিটি মিশনের আওতায় নেওয়া হয়েছিল ৷ পুর কমিশনার জানিয়েছেন, স্মার্টসিটি মিশনের অন্তর্গত কিছু প্রকল্প রয়েছে ঠিকই ৷ কিন্তু, হাওড়া রিভারফ্রন্ট উন্নয়নের প্রশ্ণে পৃথক একটি প্রকল্প তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল ৷ কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয় মন্ত্রক এই প্রকল্পে ৯৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে ৷
তিনি জানান, এ-ধরনের প্রকল্প সারা দেশে মোট ১২টি শহরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মঞ্জুর করেছে ৷ ওই প্রকল্পে মঞ্জুরকৃত ৯৯ কোটি টাকার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে ৫১ কোটি টাকা দিয়েছে ৷ বাকি টাকা রাজ্য সরকার বহন করবে ৷ পুর কমিশনারের কথায়, শহরবাসীর বিনোদন, পার্কিঙের সুবিধা, বসার জায়গা এবং অর্গানিক খাদ্যের বাগান এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি করার চিন্তাভাবনা রয়েছে ৷ তাঁর দাবি, শহর সৌন্দর্যায়নের প্রশ্ণে এই প্রকল্প বিশেষ ভূমিকা নেবে ৷ শুধু তা-ই নয়, শহরবাসি এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন ৷


ড় শৈলেশকুমার যাদব বলেন, আগরতলায় হাওড়া নদীর চরে দুটি স্থান চিহিণত করা হয়েছে ৷ স্টিলের ব্রিজ থেকে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট পর্যন্ত ৭০০ মিটার জায়গা এবং বটতলা সেতু থেকে দশমীঘাট পর্যন্ত জায়গায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে ৷ তাই, কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন ও আবাসন মন্ত্রক এবং ফরাসি বিনিয়োগকারী সংস্থার পাঁচজনের প্রতিনিধি দল আজ ত্রিপুরায় এসেছেন ৷ তাঁদের সাথে সকালেই প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয়ে চর্চা হয়েছে৷ এর পর তাঁরা প্রকল্পের স্থান পরিদর্শন করেছেন৷


পুর কমিশনার জানান, আজ দ্বিতীয় দফায় পুনরায় প্রকল্পটি নিয়ে বৈঠক হয়েছে ৷ আগামীকাল তাঁরা ফের স্থান পরিদর্শনে যাবেন ৷ তার পর প্রকল্পের ভবিষ্যত রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু হবে ৷ তাঁর কথায়, ওই প্রতিনিধি দল এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সবরকমের সহায়তা দেবে ত্রিপুরা সরকারকে৷ প্রযুক্তিগত সহযোগিতা থেকে শুরু করে, ডিজাইন, ডিপিআর তৈরি এবং দরপত্র আহ্বান বিষয়ে তাঁরা ত্রিপুরা সরকারকে সহায়তা দেবে৷ পুর কমিশনারের দাবি, এই প্রক্রিয়ায় অন্তত ৬ থেকে ৯ মাস সময় লাগবে৷ তার পর প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে৷


ড় শৈলেশ যাদব মনে করেন, হাওড়া নদীর চর এবং আগরতলা শহরকে পুরো বদলে দেবে এই প্রকল্প৷ সারা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের সাথে এক সারিতে আসার ক্ষেত্রে এই প্রকল্প বিরাট ভূমিকা নেবে ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *