প্রকাশ্যে দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘ছপাক’ ছবির ফার্স্ট লুক

মুম্বাই, ২৫ মার্চ (হি. স.) : প্রকাশ পেল দীপিকা পাড়ুকোন ‘ছপাক’ ছবির ফার্স্ট লুক। দীপিকা তাঁর টুইটার প্রোফাইলে নিজের লুক প্রকাশ করেছেন। ছবিতে দেখা গিয়েছে আয়নার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দীপিকা। চেহারা তাঁর অ্যাসিড আক্রান্তের মতোই কুঁচকে গিয়েছে। অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের চরিত্রে বেশ ভালই মানাচ্ছে দীপিকাকে। ছবিটা পরিচালনা করেছেন মেঘনা গুলজার।

চেনা ছকের বাইরের গল্প পর্দায় তুলে ধরাই মেঘনার নেশা। বায়োপিক এর আগে বলিউডে বহু বার হয়েছে। সেখানে জায়গা করে নিয়েছেন ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব থেকে রাজনীতিবিদ। কিন্তু ট্রেন্ড ভেঙে এ বার অ্যাসিড আক্রান্তের বায়োপিক নিয়ে হাজির হয়েছেন মেঘনা। শুরু হয়েছে ‘ছপক’ ছবির শ্যুটিং। দীপিকা আগেই জানিয়েছিলেন, মেঘনার কাছে ছবির স্ক্রিপ্ট শুনে হ্যাঁ বলতে সময় নেননি তিনি। বলেছিলেন, লক্ষ্মীর জীবনের গল্প ভীষণ ভাবে প্রভাবিত করেছিল তাঁকে। আর অ্যাসিড সারভাইভার লক্ষ্মীর চরিত্রে তাঁর ফার্স্ট লুক প্রকাশ পেতেই দীপিকা জানালেন, “এই চরিত্র আজীবন আমার হৃদয়ে থাকবে।” প্রসঙ্গত, ছবিতে দীপিকার চরিত্রের নাম মালতী। পরিচালক মেঘনার কথায়, “মালতী আশার প্রতীক, উৎসাহের প্রতীক।“ জোরকদমে চলছে ছবির প্রস্তুতি। মেঘনা নিজেই একটি ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা গিয়েছে, ছবির সব কলাকুশলীরা একসঙ্গে বসে মন দিয়ে স্ক্রিপ্ট পড়ছেন। রয়েছেন অভিনেতা বিক্রান্ত মাসে। ‘ছপক’ ছবিতে মালতী’র সঙ্গীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

লক্ষ্মী আগরওয়ালকে ২০০৫ সালে এক যুবক প্রেমের প্রস্তাব দেয়৷ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন লক্ষ্মী৷ এই ‘অপরাধে’ ওই যুবক লক্ষ্মীর মুখ-সহ গোটা শরীর লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোঁড়ে৷ দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি৷ এরপর অস্ত্রোপচার করে সুস্থ হন৷ তাতেও দমেননি লক্ষ্মী৷ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি৷ অ্যাসিড কেনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ একটি এনজিও-র হয়ে অ্যাসিড আক্রান্তদের নিয়ে কাজ করতেন লক্ষ্মী৷ পরে বিয়েও করেন৷ সন্তানও রয়েছে তাঁর৷ কিন্তু সাংসারিক জীবনেও সেভাবে সফল হননি তিনি৷ আপাতত বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে লক্ষ্মীর৷ সন্তান ও মাকে নিয়ে মুম্বইতে একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে দিন কাটান লড়াকু এই মহিলা৷ লক্ষ্মীর সংগ্রামের কাহিনিকেই বড়পর্দায় ফুটিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন মেঘনা গুলজার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *