BRAKING NEWS

একের পর এক হত্যাকান্ডে পার্বত্য চট্টগ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে

ঢাকা, ১৯ মার্চ (হি. স.) : পার্বত্য চট্টগ্রামে রক্ত ঝরছেই। একের পর এক হত্যাকান্ডের ঘটনায় পাহাড়ে এখন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির নয় মাইল এলাকায় উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে গাড়িতে করে ফেরার সময় ব্রাসফায়ারে দুই নির্বাচনি কর্মকর্তাসহ সাত জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার মাত্র ১৪ ঘন্টার মাথায় আজ মঙ্গলবার সকাল নটা নাগাদ রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামি লিগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকালে হত্যার ঘটনাটি ঘটে বিলাইছড়ি উপজেলার আলিক্ষ্যং এলাকায়। এ নিয়ে পাহাড়ে সংঘাতে গত ১৫ মাসে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬০। 

রাঙামাটির বাঘাইছড়ির ন’মাইল এলাকায় সোমবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম নিয়ে উপজেলা সদরে ফেরার পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে মোট সাতজন নিহত হন। ঘটনাস্থলে নিহত পোলিং অফিসার হচ্ছেন স্থানীয় কিশলয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ আমির হোসেন। আর নিহত চার আনসার ও ভিডিপির সদস্যরা হচ্ছেন মোহাম্মদ আল আমিন, মিহির কান্তি দত্ত, বিলকিস ও জাহানারা বেগম। এছাড়াও গুরুতর আহত ১১ জনকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানোর পথে আবু তৈয়ব নামে আরেকজন নির্বাচন কর্মকর্তা মারা যান। তিনি ওই কেন্দ্রে সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ঘটনাস্থলের পাশে একটি ঝোঁপ থেকে আরেকটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়রা তার নাম মন্টু চাকমা বলে জানিয়েছে। রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামি লিগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে আজ সকালে হত্যার খবর জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ ইকবাল বলেন, আজ সকাল ৯টার দিকে সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মুছা মাতব্বর এই হামলার জন্য জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)র নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ি করেছেন। অবশ্য জনসংহতি সমিতির জেলা সম্পাদক নীলোৎপল খীসা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “আমরা এই ধরনের রাজনীতির চর্চা করি না। এসব ঘটনার সঙ্গে আমাদের জড়ানোর চেষ্টা স্রেফ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হীনপ্রচেষ্টা। সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এই উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সমর্থিত প্রার্থী বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যার কাছে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামি লিগের প্রার্থী জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যা।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *