BRAKING NEWS

বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু, রাজ্যপালের ভাষণে গুরুত্ব পেল কৃষি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ ফেব্রুয়ারি৷৷ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে শুক্রবার৷ প্রথা অনুযায়ী রাজ্যপালের ভাষণ দিয়েই শুরু হল অধিবেশন৷ এদিন ভাষণে রাজ্যপাল প্রফেসর কাপ্তানসিং সোলাঙ্কি কৃষি-সহ সকলের উন্নয়নে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন৷ তাঁর কথায়, সব-কা সাথ সব-কা বিকাশ, এটাই হল রাজ্য সরকারের মূল মন্ত্র৷ সেই দিশাতেই এগিয়ে যেতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ৷

শুক্রবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপাল কাপ্তান সিং সোলাঙ্কি ভাষণ দিয়েছেন৷ ছবি নিজস্ব৷

রাজ্যপাল এদিন কৃষি থেকে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, পর্যটন এবং জনজাতিদের উন্নয়নে রাজ্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ পাশাপাশি, নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তুলতে রাজ্য সরকারের সংকল্পকেও কুর্ণিশ জানিয়েছেন তিনি৷ এদিন তিনি ভাষণে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন৷

রাজ্যপাল বলেন, এক ঐতিহাসিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরাবাসী নতুন সরকার গঠন করেছিল৷ এই সরকারের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে৷ রাজ্যের জনগণকে প্রদত্ত আশ্বাস অনুযায়ী রাজ্য সরকার রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সব-কা সাথ, সব-কা বিকাশ নীতি অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংকল্প এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত, তা পূরণে তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে যাওয়া এবং উন্নয়নকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে৷

রাজ্যপালের বক্তব্য, রাজ্য সরকার অপরাধমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে বিশেষভাবে জোর দিয়েছে৷ নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠন তারই অন্যতম অঙ্গ৷ তিনি বলেন, তদন্ত ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য রাজ্য সরকার দিল্লি পুলিশের ধাঁচে ত্রিপুরা পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চ গঠন করেছে৷

সাথে তিনি যোগ করেন, দুর্নীতি দমনেও রাজ্য সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে৷ তাঁর কথায়, স্বচ্ছতা আনার জন্য রাজ্য সরকার প্রযুক্তিকে বিশেষভাবে ব্যবহার করেছে৷ ই-টেন্ডার, ই-স্ট্যাম্প ইত্যাদি পরিষেবা চালু করে স্বচ্ছতা আনার পাশাপাশি রাজ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করা সহজতর হয়েছে৷

তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য এখন কৃষি৷ কৃষি ও কৃষক কল্যাণে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ তাঁর বক্তব্য, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান বিধি রাজ্যে চালু হচ্ছে৷ তাতে ২ লক্ষ ৭০ হাজার কৃষক উপকৃত হবেন৷ শুধু তাই নয়, ১ লক্ষ ৩০ হাজার পাট্টাধারীকেও এই প্রকল্পের আওতায় এনেছে রাজ্য সরকার৷ ফলে, তাঁরাও উপকৃত হবেন৷ রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর৷ তাই কৃষকদের উৎসাহ বাড়াতে রাজ্যে প্রথমবার এফসিআই নূ্যনতম সহায়কমূল্যে তাঁদের কাছ থেকে ধান কিনেছে৷ তাতে কৃষকরা প্রতি কেজিতে ৫৫০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা করে লাভবান হচ্ছেন৷

তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার শিক্ষাকেও ভীষণ গুরুত্ব দিয়েছে৷ আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি সুকলে এনসিইআরটি-র সিলেবাস চালু হচ্ছে৷ তাছাড়াও, যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার মান বাড়ানোর চেষ্টা চলছে৷ রাজ্যপাল আরও বলেন, নারী শক্তির সশক্তিকরণের মাধ্যমে রাজ্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে৷ তিনি বলেন, এই প্রথম পুলিশ দফতরে নিয়োগে মহিলাদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *