BRAKING NEWS

বিয়ের সাত দিন পরই গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ ডিসেম্বর৷৷ সামাজিক রীতি মনে গত ২রা ডিসেম্বর বিয়ে হয়েছিল রঞ্জিত ত্রিপুরা এবং কল্যাণী ত্রিপুরার৷ উভয়ের বাড়িই বিলোনীয়া এলাকায়৷ সুখের সংসার তো দূরে থাক, মাত্র নয়দিনের মাথায় গত দশ ডিসেম্বর রাতেই তাঁকে গলা টিপে হত্যা করার অভিযোগ উঠল স্বামী রঞ্জিত ত্রিপুরা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে৷
ঘটনার পর গত ১১ ডিসেম্বর এমর্মে মৃতার পরিবার পুলিশে একটি মামলাও দায়ের করেছে৷ কিন্তু, আশ্চার্য্যের ঘটনা হলো মৃতার স্বামী পুলিশের চাকুরী করার সুবাদে পুলিশ তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করবে কিনা সহজেই সন্দেহ রয়েছে৷ সেই সাথে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমন সন্দেহ প্রকাশ করছে মৃতার পরিবার৷ বৃহস্পতিবার তাই দ্বারস্থ হলেন মহিলা কমিশনের৷ কথা বলেছেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের সাথেও৷ অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, স্বাভাবিক রীতি মেনেই দ্বিরাগমনে বাপের বাড়িতে এসেছিলেন মেয়ে কল্যাণী ত্রিপুরা (১৯)৷ স্বামীর বাড়ি থেকে ১০ ডিসেম্বরই ফোন করে স্ত্রীকে স্বামীর বাড়ি পৌঁছে দেবার কথা বলা হয়েছিল৷ সেই মতো তাঁকে পাঠানোও হয়েছিল৷ কিন্তু, ১১ ডিসেম্বর সকালেই তাদেরকে ফোন করে বলা হয়, অসুস্থ অবস্থায় কল্যাণীকে তারা নীহারনগর হাসপাতালে পাঠিয়েছে৷ সেখানে মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানান৷ পুলিশ স্বামী রঞ্জিত ত্রিপুরা, শশুর কুঞ্জ মোহন ত্রিপুরা এবং শাশুড়ি দেবরাণি ত্রিপুরাকে আটক করেছে৷
মৃতার বাবা সুজাতা ত্রিপুরা এদিন বলেছেন, মেয়েকে তারা শ্বাসরুদ্ধ করে গলা টিপে হত্যা করেই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়৷ গলায় এর যথেষ্ট প্রমাণও মিলেছে৷ যা তিনি ক্যামেরা বন্দি করে রেখেছেন বলেও জানান৷ মহিলা কমিশনে অভিযোগ জানানোর সময় এসব ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে৷ পুলিশ অনেক ক্ষেত্রেই মামলা যথোপযুক্ত না নিয়ে দোষীকে পার পাইয়ে দেবার অভিযোগ উঠে৷ এক্ষেত্রেও সেটাই করেছে কিনা এনিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হযেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *