BRAKING NEWS

পুর ও নগরের ভোট পিছিয়ে ২৭শে অবহিত করা হয়নি, চটেছে বামেরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ ডিসেম্বর৷৷ নগর সংস্থার উপনির্বাচন পিছিয়েছে৷ নয়া নির্ঘন্ট অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ভোট হবে ২৭ ডিসেম্বর৷ তেমনি ২৬ ডিসেম্বরের পরিবর্তে গণনা হবে ২৮ ডিসেম্বর৷ তাতে, ভীষণ চটেছে বামফ্রন্ট৷ কারণ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন ১১ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ পরিবর্তনের গেজেট নোটিফিকেশন জারি করলেও ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত কোন বিজ্ঞপ্তি পাঠায়নি৷ এমনকি, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও ভোটের দিনক্ষণ পরিবর্তন নিয়ে কোন তথ্য দেওয়া হয়নি৷ তাই, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে বামফ্রন্টের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্তে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ভঙ্গ হয়েছে৷
ধারণা করা হচ্ছে, অনুকূল ঠাকুরের রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানের জন্যই হয়তো নগর সংস্থার উপনির্বাচন পিছিয়েছে৷ কারণ, বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে ট্রেজারি বেঞ্চের পক্ষ থেকে ২২ ডিসেম্বর নগর সংস্থার উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল৷ ১১ ডিসেম্বর রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন পরিবর্তনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে৷ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২২ ডিসেম্বর নগর সংস্থার উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে৷ পাশাপাশি উপনির্বাচনের সংশোধিত সূচিও ঘোষণা করেছে কমিশন৷ সংশোধিত সূচী অনুযায়ী ভোট হবে ২৭ ডিসেম্বর সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত৷ ভোট গণনা হবে ২৮ ডিসেম্বর৷ ভোট গণনা শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে৷ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যেই পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে৷ কমিশন এই সূচীতে কোন পরিবর্তন আনেনি৷ কারণ, পূর্বে ঘোষণা অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যেই পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বলা হয়েছিল৷ সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি আরো বলা হয়েছে, অন্যান্য শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকবে৷
কমিশন ভোটের দিন পরিবর্তনের বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ঘোষণা দেয়নি৷ ১১ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও ২৪ ঘন্টা পর ১২ ডিসেম্বর প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে ভোটের দিন বদলের ঘোষণা দিয়েছে কমিশন৷ কমিশনের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই চটে লাল হয়ে গিয়েছে বামফ্রন্ট৷
এক প্রেস বিবৃতিতে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুর ও নগর সংস্থাগুলোর ভোট গ্রহণের তারিখ ২২ ডিসেম্বর থেকে পিছিয়ে ২৭ ডিসেম্বর করা হয়েছে৷ কমিশনের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ময় প্রকাশ করে বামফ্রন্ট বলেছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন ১১ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ পরিবর্তনের গেজেট নোটিফিকেশন জারি করলেও ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত কোন বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়নি৷ এমনকি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তা দেওয়া হয়নি৷ পরিবর্তিত সূচী অনুযায়ী ভোট গ্রহণের পরদিন ২৮ ডিসেম্বর ভোট গণনার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে৷ বামফ্রন্ট এই সিদ্ধান্তকে বেনজির বলে কটাক্ষ করেছে৷
বামেদের বক্তব্য, যে কোন নির্বাচনেই ভোট গ্রহণের সময় কোন গোলযোগ ঘটলে পুনঃভোট নেওয়ার জন্য দু’এক দিন সময় রেখে গণনার তারিখ স্থির করা হয়ে থাকে৷ কিন্ত, নগর সংস্থাগুলির উপনির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেই সুযোগ রাখেনি৷ কি কারণে ভোটের তারিখ পরিবর্তন করা হল তাও জানানো হয়নি, উষ্মা প্রকাশ করে বলেছে বামফ্রন্ট৷
বামেদের বক্তব্য, ভোটের তারিখ নির্ধারণের ক্ষমতা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হলেও নির্বাচন হোক বা উপনির্বাচন, ভোটের আগে কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে পরামর্শ করাই রীতি৷ কিন্তু, রাজ্য নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের সূচী ঘোষণার আগে যেমন এ রীতি মানেনি, তেমনি ভোটের তারিখ পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও কোন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেনি৷ কমিশনকে নিশানা করে বামফ্রন্ট বলেছে, নির্বাচন একটি গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া৷ কিন্তু, রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিজেই গণতান্ত্রিক রীতি ভঙ্গ করেছে৷ বামেদের বক্তব্য, ২৭ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক জনশিক্ষা দিবস৷ ১৯৪৫ সাল থেকে ত্রিপুরায় সভা-সমাবেশ ও নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই দিনটি উদযাপিত হয়ে আসছে৷ কিন্তু, উপনির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এটা বিবেচনায় নেয়নি৷ তাই, বামফ্রন্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনের গণতান্ত্রিক রীতিনীতি লঙ্ঘনের প্রতিবাদ জানিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *