/৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় শৌর্য্য দিবস পালন করবে বিশ্বহিন্দু পরিষদ

৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় শৌর্য্য দিবস পালন করবে বিশ্বহিন্দু পরিষদ

অযোধ্যা, ৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। এরই মধ্যে ৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় শৌর্য্য দিবস পালন করবে বিশ্বহিন্দু পরিষদ। এরপর ১৮ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী পালন করা হবে।
এই প্রসঙ্গে অযোধ্যায় বিশ্বহিন্দু পরিষদের মুখোপাত্র শরদ শর্মা জানিয়েছেন, পরম্পরাগত ভাবে অযোধ্যায় শৌর্য্য দিবস পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বহিন্দু পরিষদ ছাড়াও এই দিবসটি উদযাপন করে থাকে একাধিক সংগঠন। অযোধ্যায় অবস্থিত বহু আখড়াও একাধিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে। ওইদিনটিতে বিশেষ যজ্ঞেরও আয়োজন করা হবে। রাম মন্দির নির্মাণ যাতে সার্থক পরিণতি পায় সেই প্রার্থনা করা হবে। পাশাপাশি ওইদিন মা সরস্বতীর আরাধনা করা হবে। সর্ব বাধা মুক্তি জন্য বিশেষ যজ্ঞ করা হবে। পাশাপাশি যেসব নিরীহ করসেবক নিজেদের জীবনের বলি দিয়েছেন তাদেরকেও স্মরণ করা হবে। করসেবকরা হচ্ছেন রামায়ণের জটায়ুর মত। এর পাশাপাশি ৯ ডিসেম্বর রাজধানী দিল্লিতে ধর্মসভার আয়োজন করা হবে। প্রায় পাঁচ লক্ষ জনসমাগম হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে ধর্ম সংসদের আয়োজন করা হবে। যেখানে গোটা দেশ থেকে প্রায় ৫০০০ সাধু অংশগ্রহণ করবে। ধর্ম সংসদে রাম মন্দির, গরু, গঙ্গা নদী সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে।
নিরমোহি আখড়া মহন্ত রামদাস জানিয়েছেন, অযোধ্যার রাম জন্মভূমি মোঘল স্থাপত্য থেকে মুক্ত করার স্মরণে শৌর্য্য দিবস পালন করা হবে। ওইদিন অযোধ্যার প্রায় ৫০০ আশ্রয়ে ঘিয়ের প্রদীপ দিয়ে সাজানো হবে। বৈদ্যুতিক আলো দিয়েও প্রজ্জলিত করা হবে। পাশাপাশি বিশ্বহিন্দু পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, ১৮ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তীর দিন রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দেশজুড়ে শপথ নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল।