সুকলগুলিতে পঠন-পাঠনে গন্ডি বেঁধে দিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মেনে চলার নির্দেশিকা জারি দপ্তরের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ নভেম্বর৷৷ সুকলগুলিতে পঠন-পাঠনে নির্দিষ্ট গন্ডি বেঁধে দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তা মেনে চলার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দপ্তর৷ এই নির্দেশ পালন করা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷

শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বছরে ন্যুনতম ২০০ কর্মদিবস এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বছরে ন্যুনতম ২২০ কর্মদিবস পড়ানো বাধ্যতামূলক৷ তেমনি, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি শিক্ষাবর্ষে ন্যুনতম ৮০০ ঘন্টা এবং  ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি শিক্ষাবর্ষে ন্যুনতম ১০০০ ঘন্টা পড়ানো বাধ্যতামূলক৷ এই নিয়ম এখন থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মানতেই হবে৷

তিনি জানান, নিয়ম পালন করার জন্য শিক্ষা দপ্তর নির্দেশিকা জারি করেছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সপ্তাহে ন্যুনতম ২৫টি ক্লাশ নিতে হবে৷ তবে, ৩৯টি ক্লাশের বেশী কোন শিক্ষক-শিক্ষিকাকেই পড়াতে হবে না৷ তাঁর কথায়, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ২৪৮ দিন সুকল খোলা রাখতে হবে৷ তার মধ্যে ২১০ দিন সুকলে পঠন-পাঠন হতে হবে৷

এদিকে, ইউজিসি নিয়ম অনুযায়ী বছরে ১৮০ দিন কলেজ হবে৷ তাতে, সপ্তাহে ছয়দিনে ১৬ ঘন্টা পড়াতে হবে এবং বাকি ১৪ ঘন্টা কলেজের অন্যান্য কাজ করবেন অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা৷

এদিকে, রাজ্যে এনসিইআরটি সিলেবাস চালু হচ্ছে৷ নতুন সিলেবাসে প্রশিক্ষনের জন্য এনসিইআরটি’র  প্রশিক্ষকরা রাজ্যে আসছেন৷ এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষায় ২৪০ জন এবং বুনিয়াদী শিক্ষায় ২০০ জন শিক্ষকদের এনসিইআরটি’র সিলেবাস সম্পর্কে প্রশিক্ষন দেওয়ার জন্য ১২ জন প্রশিক্ষক রাজ্যে আসবেন৷ সে মোতাবেক আগামী ৩ থেকে ৬ ডিসেম্বর মডিউল ঠিক করার জন্য এনসিইআরটি’র একটি টি রাজ্যে আসবে, জানান শিক্ষামন্ত্রী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *