রাজ্য সিবিআইয়ের প্রবেশাধিকার কার্যত ‘নিষিদ্ধ’ করলেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু

হায়দরাবাদ, ১৬ নভেম্বর (হি.স.) : কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে এবার কার্যত সম্মুখ সমরে নামলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু৷ অন্ধ্রপ্রদেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের প্রবেশাধিকার কার্যত ‘নিষিদ্ধ’ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ শুক্রবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রশাসন৷ স্পষ্ট বলা হয়েছে, এবার থেকে ওই রাজ্যে নিজেদের মর্জি মত তল্লাশি চালাতে পারবেন না সিবিআই আধিকারিকরা৷ প্রবেশের আগে নিতে হবে রাজ্য সরকারের অনুমতি৷
তবে এমন কোনও নির্দেশিকার প্রতিলিপি তাঁদের হাতে আসেনি বলে জানিয়েছেন সিবিআই অধিকর্তারা৷ অন্ধ্র প্রশাসনের এই নির্দেশিকা আদৌ মানবেন কিনা সিবিআই আধিকারিকরা, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল৷ এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করে পরবর্তী কালে সিবিআই আধিকারিকরা আইনি পথ বেছে নিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে৷ তবে চন্দ্রবাবুর এই ঘোষণার পরই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি বিরোধী জোটের আরও এক রথী তথা এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও সিবিআইয়ের সমালোচনা করেন তিনি৷ চন্দ্রবাবুকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “অন্ধ্রপ্রদেশে সিবিআইয়ের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে একদম সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উনি৷ সিবিআই, ইডিকে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি৷”
এই দুই ঘটনার পরেই মুখ খুলেছে বিজেপি৷ টিডিপি ও তৃণমূলের দুই হাইকমান্ডকে একসঙ্গে আক্রমণ শানালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা৷ অন্ধ্রপ্রদেশ প্রশাসনের এই নির্দেশিকাকে অবৈধ বলে দাবি করেন তিনি৷ রাজ্যের শাসকদলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, এইভাবে চিটফান্ড তদন্তের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না৷ রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির অভিযোগ, বিভিন্ন দুর্নীতি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই এনারা সিবিআইয়ের বিরোধিতায় নেমেছে৷
উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে মহাজোট গড়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে মোক্ষম ধাক্কা দিতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিরোধীরা৷ যাতে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ও এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আগামী ১৯ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কলকাতায় আসছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী৷ তারও আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ, জেডিএস নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তাঁর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *