BRAKING NEWS

রাফাল চুক্তিতে বড়সড় জালিয়াতি রয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে দাবি আবেদনকারীদের

নয়াদিল্লি, ১৪ নভেম্বর (হি.স.) : রাফাল চুক্তি নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণের যে রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে পেশ করেছে কেন্দ্র তার মধ্যে বড়সড় জালিয়াতি রয়েছে বলে বুধবার সুপ্রিম কোর্টকে জানালেন রাফাল মামলার অন্যতম আবেদনকারী আইনজীবী এম এল শর্মা।

এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস কে কাউল এবং বিচারপতি কে এম জোসেফ-এর ডিভিশন বেঞ্চে রাফাল মামলার শুনানি ছিল। সেখানে রাফাল মামলার অন্যতম আবেদনকারী(পিটিশনার) আইনজীবী এম এল শর্মা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের মে মাসের পর থেকে রাফাল ক্রয় নিয়ে যে সিদ্ধান্তগ্রহণ করা হয়েছিল তার মধ্যে বড়সড় জালিয়াতি রয়েছে। এই বিষয়ে পাঁচসদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির দাবি আদালতে জানিয়েছেন তিনি।

কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল নিরাপত্তাজনিত কারণে রাফালের দাম প্রকাশ্যে আনা যাবে। এই বিষয়ে রাফাল মামলার আর এক আবেদনকারী তথা আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিং আদালতকে জানিয়েছেন, সংসদে কেন্দ্র দুইবার রাফালের দাম প্রকাশ করেছিল। তাই সেই দাম সুপ্রিম কোর্টে জানাতে কেন্দ্রের অসুবিধা কোথায়? এদিন বর্ষীয়ান আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জানিয়েছেন, রাফাল চুক্তিতে বহু অনিয়ম রয়েছে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কেন্দ্র রাফাল চুক্তি নিয়ে তথ্য না দেওয়ার যে যুক্তি দিচ্ছে তা একেবারে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইচ্ছাতেই রাফাল চুক্তিতে রদবদল করা হয়েছিল। অনিল আম্বানিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই এই রদবদল আনা হয়েছে। আদালতকে প্রশান্ত ভূষণ জানিয়েছেন,চুক্তিতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা কেউ জানত না। এমনকি প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিজেই বিষয়টি নিয়ে অবগত ছিলেন না। চুক্তিতে ছিল ১২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানের কথা। চুক্তি পরিবর্তন করে তা করা হয়েছে ৩৬টিতে। অনিল আম্বানির রিলায়েন্সকে অফসেট পার্টনার করার জন্যই চুক্তিতে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। রিলায়েন্স কোম্পানির কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। কোনওদিন রিলায়েন্স যুদ্ধবিমান প্রস্তুত করেনি। চার বছর কেটে গিয়েছে কিন্তু কোনও রাফাল যুদ্ধবিমান এখনও ভারতে আসেনি। ডাস্লোটের সঙ্গে যোগসাজশ করে চুক্তিটি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *