BRAKING NEWS

একাত্তরকে ভিত্তি ধরে ত্রিপুরায় এনআরসি চালুর পক্ষে সিপিএমের উপজাতি সংগঠন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ নভেম্বর৷৷ ধর্মীয় কিংবা জাতপাত নয়, ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির ভিত্তিতে হোক এনআরসি, চাইছেন এডিসি’র মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য তথা সিপিএমের উপজাতি সংগঠন গণমুক্তি পরিষদের সম্পাদক রাধাচরণ দেববর্মা৷ তবে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হলে, এনআরসি’র গুরুত্ব কোথায় রয়ে যাবে, সেই প্রশ্ণ তুলে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, দেশবাসীর সাথে দ্বিচারিতা করছে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার৷ জাগরণকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এনআরসি নিয়ে তিনি মুখ খুলেছেন৷

এনআরসি একটি স্পর্শকাতর বিষয়৷ সাথে খুবই চিন্তারও বটে৷ সম্ভবত, কয়েকদিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যে এনআরসি নিয়ে পিটিশনের উপর শুনানি হবে৷ এনআরসি বর্তমানে উপজাতি ভাবাবেগে বিরাট জায়গা করে নিয়েছে৷ কথায় আছে, গরম তাওয়ায় রুটি সেকতে চায় সকলেই৷ ফলে, সেই সুযোগ সিপিএমের উপজাতি সংগঠনও ছাড়তে চাইছে না৷

উপজাতি গণমুক্তি পরিষদের সম্পাদক তথা এডিসি’র মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য রাধাচরণ দেববর্মা রাজ্যে এনআরসি’র পক্ষে মত দিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, রাজ্যে এনআরসি চালু হওয়া খুবই জরুরী৷ তবে, ধর্মীয় কিংবা জাতপাতের ভিত্তিতে এনআরসি চালু হোক তা চাই না৷ তাঁর সাফ কথা, ১৯৭১ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনুসারে রাজ্যে এনআরসি চালু হওয়া উচিৎ৷ কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার ধর্মের ভিত্তিতে এনআরসি চালু করতে চাইছে৷ সবই ভোটের রাজনীতি, কটাক্ষ করেন রাধাচরণ৷

তাঁর বক্তব্য, জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের মাধ্যমে প্রকৃত ভারতীয়দের শনাক্ত করা একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিৎ৷ কিন্তু, দেখা যাচ্ছে ধর্ম এবং জাতপাতের মেরুকরণের লক্ষ্যে এনআরসি’কে ব্যবহার করা হচ্ছে৷

তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়েও বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে কামান দেগেছেন৷ তাঁর সাফ কথা, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হলে এনআরসি’র গুরুত্ব কোথাও থাকবে বলে মনে করি না৷ কারণ, ওই বিল অনুসারে হিন্দু ছাড়া ভারতে অন্য কেউ স্থান পাবেন না৷ একই উদ্দেশ্য এনআরসি’রও৷ তাঁর কটাক্ষ, বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার দেশবাসীর সাথে দ্বিচারিতা করছে৷ কারণ, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব হয়নি৷ তাই, নিজেদের পিঠ বাঁচাতে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *