BRAKING NEWS

রাজ্যে উপজাতি কল্যাণে গৃহীত কর্মসূচী খতিয়ে দেখলেন রাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ নভেম্বর৷৷ কেন্দ্রীয় উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুদর্শন ভগতের সভাপতিত্বে আজ রাজ্য অতিথিশালা সোনার তরীীতে এক পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়৷ কেন্দ্রীয় উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রকের বিভিন্ন স্কীমের আওতায় রাজ্যে গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি ও বাস্তবায়ন সম্পর্কিত এই পর্যালোচনা বৈঠকে উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের প্রধান সচিব এল এই ডার্লং, অধিকর্তা সি কে জমাতিয়া সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন৷
পর্যালোচনা বৈঠকে কেন্দ্রীয় উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুদর্শন ভগত রাজ্যের কেন্দ্রীয় উপজাতি মন্ত্রকের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় গৃহিত বিভিন্ন কাজের অগ্রগতির খোঁজ খবর নেন এবং কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন৷ তিনি বলেন, এই মন্ত্রকের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে আরও গতি আনতে হবে৷ রাজ্যের উপজাতিদের সার্বিক কল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকার সবধরনের সহায়তা করবে৷ বৈঠকে উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া রাজ্যে উপজাতিদের কল্যাণে গৃহিত বিভিন্ন কর্মসূচির অগ্রগতির সঠিক বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন৷ সভায় উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা সি কে জমাতিয়া জানান, ২০১৭-১৮ বর্ষে কেন্দ্রীয় উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রকের কাছে রাজ্যের উপজাতিদের সার্বিক উন্নয়নে ১০৭৬০ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল৷ এর মদ্যে ৯০৩৭ কোটি টাকা অনুমোদন পাওয়া গেছে৷ তেমনিভাবে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ১৪১০৪ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল৷ ৫২৭২ কোটি টাকার অনুমোদন পাওয়া গেছে এবং ইতিমধ্যেই ২৪৯২ কোটি টাকা রিলিজ হয়েছে৷ বৈঠকে আরও জানানো হয়, রাজ্যে বর্তমানে ৪টি একলব্য মডেল সুকল চালু রয়েছে৷ গোমতী জেলার ডলুমাতে এবং ধলাই জেলার পূর্ব নালিছড়াতে আডও দুটি একলব্য মডেল সুকল গড়ে তোলা হচ্ছে৷ এছাড়াও আরও একটি সুকলের জন্য অনুমোদন পাওয়া গেছে৷ সেটি হবে সিপাহীজলা জেলার জম্পুইজলাতে৷ এদিকে রাজ্যের উপজাাতি ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে মেগালয়ের রাজধানী শিলং এ একটি হোস্টেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ এই বিষয়ে ইতিমধ্যে ওই রাজ্যের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ এছাড়াও অন্য আরেকটি হোস্টেল আসামের গৌহাটিতে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ ইতিমধ্যে জমি চিহ্ণিত করণের কাজ শুরু হয়েছে৷ বৈঠকে আরও জানানো হয়েছে, বনাধিকার আইনের আওতায় চলতি বছরের সেপ্ঢেম্বর পর্যন্ত ৯৩ হাজার ৬৭৩টি পরিবারকে অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদান করা হয়েছে৷ পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৩২ হাজার ৭২২ জনকে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *