BRAKING NEWS

সংহতি ও সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে শেষ হল আলোর উৎসব দীপাবলি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ নভেম্বর৷৷ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হল দীপাবলি ও শ্যমামায়ের আরাধনা৷ মঙ্গলবার ও বুধবার দুদিন

দীপাবলির সন্ধ্যায় রাজধানী আগরতলায় তোলা নিজস্ব ছবি৷

রাজ্যের সর্বত্রই ছিল উৎসবের আমেজ৷ আলোর উৎসব দীপাবলিকে কেন্দ্র করে জনমনে উৎসাহের কোন ঘাটলি লক্ষ্য করা যায়নি৷ রাজধানী আগরতলা শহরে শারদোৎসবের পর দীপাবলিতে জনঢল নেমেছিল৷ বিভিন্ন মন্দিরে যেমন কালী পুজার আয়োজন করা হয়েছিল তেমনি বিভিন্ন ক্লাব এবং কিছু পাড়ায়ও পুজার আয়োজন করা হয়েছিল৷ আলোক মালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছিল পুজা মন্ডপ এবং আশেপাশের রাস্তাঘাট৷

এদিকে, মাতাবাড়ির ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির ভারতের একান্ন পীঠের এক পীঠ৷ রাজ্যের অন্যতম পীঠস্থান৷ প্রতিবছর হৈমন্তিক অমাবস্যায় দীপাবলি উৎসবে অগণিত পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে এখানে৷ এই পীঠস্থানে কেউ আসেন ধর্মীয় টানে, কেউবা আসেন বিশ্বাসের টানে, কেউ আসেন পর্যটনের টানে বা ইতিহাসের অন্বেষণে৷ সব মিলিয়ে বৈচিত্র নিয়ে আসে এই উৎসব৷ গত ছয় নভেম্বর ধন্যমানিক্য মুক্তমঞ্চে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুইদিনব্যাপী এই উৎসব ও মেলার উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷

আলোর রোশনায়ে সেজে উঠেছিল মন্দির প্রাঙ্গন৷ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও ছিল জোরদার৷ ছিল এক হাজার স্বেচ্ছাসেবস, এছাড়া আরক্ষা বাহিনীর জওয়ান৷ আরক্ষা বাহিনী, জনসাধারণ এবং সাধারণ প্রশাসনের সম্মিলিত প্রয়াস ও সহযোগিতায় মেলা ও উৎসব শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে৷ এদিকে, পুণ্যার্থীদের আনন্দদানের জন্য ছিল তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তর আয়োজিত বৈচিত্রময় সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান৷ দুইদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে রাজ্য ও বহিঃরাজ্য ছাড়াও প্রতিবেশী বাংলাদেশের শিল্পীরাও সংগীত, নৃত্য, রামায়ণ, প্রচারধর্মী নাটক, বিহু, নৃত্যনাট্য, শ্যামা সংগীত, ভজন, ভক্তিগীতি, বাউল সংগীত, উপজাতি লোকনৃত্যু, হজাগিরি নৃত্য, যাত্রাপালা প্রভৃতি পরিবেশন করেন৷ এছাড়া এ বছর উৎসবে বিশেষ আকর্ষণ ছিল রাজ্যের মানুষের কল্যাণে কল্যাণসাগবের পাড়ে ৫১টি ঢাক বাজিয়ে কল্যাণ আরতী৷ এতে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সহ অন্যান্য অতিথিরা৷ মেলা উপলক্ষে কল্যাণ সাগরের পূর্ব পাড়ে ছিল রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ১৮টি উন্নয়নমূলক প্রদর্শনী স্টল৷ দীপাবলি মেলা উপলক্ষে একটি স্মরণিকার প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সব মিলিয়ে ঐক্য, সংহতি ও সৌভ্রাতৃতিত্বের বার্তা ছড়িয়ে শেষ হল আলোর উৎসব দীপাবলি৷ একটি সরকারী তথ্য মোতাবেক জানা গিয়েছে, এবছর মাতাবাড়িতে দীপাবলিতে চার লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছে৷ এদিকে, আগরতলা শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে প্রতিটি মন্দিরে গত দুদিন দীপাবলি উপলক্ষ্যে মেলাও হয়েছে জমজমাট৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *