আগরতলা, ২১ অক্টোবর (হি.স.) : রানিরবাজার থানার অন্তর্গত ললিতবাজারের ভদ্রনিশিপাড়ায় বাস্তুচ্যুত গ্রামবাসীরা ফিরছেন নিজের গ্রামে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রবিবার সকাল থেকে ভদ্রনিশিপাড়ার নাগরিকরা নিজেদের ঘরে ফিরে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এদিন জিরানিয়ার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিপ্লব দাস নিজে উপস্থিত থেকে গ্রামবাসীদের গ্রামে ফেরার ব্যবস্থা করেছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, জনৈক যুবতীর শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রানিরবাজার ললিতবাজারের ভদ্রনিশিপাড়া অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। যুবতীটির শ্লীলতাহানি করেছিল কতিপয় নরপিশাচ যুবক। ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্তদের বাধা দিতে গেলে পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে ওঠে।
অভিযুক্তরা পাল্টা গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা নিরীহ গ্রামবাসীদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। চলে গ্রামবাসীদের ওপর সংঘবদ্ধ আক্রমণ। এতে ভয়ে নিজেদের প্রাণ রক্ষার্থে ললিতবাজারের ভদ্রনিশিপাড়ার অভিযুক্তদের আত্মীয়রা ঘটনার দিন রাতেই রানিরবাজার থানায় আশ্রয় নেন।
এদিকে স্থানীয় জনজাতি নেতারা জানিয়েছেন, ঘটনা শুরু হয় সপ্তমীর রাতে। চলে অষ্টমীর রাত পর্যন্ত। দুই জনজাতি ছেলেকে মারধর ও মেয়ের শ্লীলতাহানি করে কতিপয় ভিন ধর্মাবলম্বী যুবক। আর এ থেকেই হামলা পাল্টা হামলা শুরু হয়। রানিরবাজার থানাধীন ললিতবাজার কালিকাপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
পুলিশ অবশ্য দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করেছে। এরা আনোয়ার হোসেন (২৫), কামাল মিয়াঁ (২৭), আমির হোসেন (৩২) এবং আবদুল হোসেন (৩৫)। উত্তেজিত জনজাতি অংশের লোকেরা দুষ্কৃতীকারী এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে তেড়ে যেতেই তারা পাল্টা আক্রমণ করে। পরে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গ্রামবাসীরা ১০টি বাড়ি ভাঙচুর করে। বেশ কয়েক দফায় হামলা হয়। ফলে দুষ্কৃতকারীদের নিকট-আত্মীয়রা ভদ্রনিশিপাড়া স্কুলে আশ্রয় নেন।