যৌন হেনস্থার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও ভ্রান্ত : এম জে আকবর

নয়াদিল্লি, ১৪ অক্টোবর (হি.স.) : দেশে ফিরলেন যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য এম জে আকবর৷ রবিবার সকালে দিল্লিতে পা রাখেন৷ আর দেশে ফিরেই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী এম জে আকবর। কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থা অভিযোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস।
এদিন এম জে আকবর বলেন, প্রমাণ ছাড়া অভিযোগ করাটা এখন ছোঁয়াছে জ্বরের মতো হয়ে গিয়েছে। গোটা বিষয়টি আমার আইনজীবী দেখছে। আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর সমাধান হবে। কেনও সাধারণ নির্বাচনের আগে এমন ধরণের অভিযোগ আনা হচ্ছে? এর পেছনে কি কোনও রকমের উদ্দেশ্য রয়েছে? এমন ধরণের ভিত্তিহীন ও রঙ চড়ানো অভিযোগের ফলে আমার সম্মানহানি হয়েছে। মিথ্যার হাতপা থাকে না। কিন্তু তা বিষাক্ত। যা উন্মত্ততার তৈরি করতে পারে। এইসব আমাকে পীড়া দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমি যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেব। ২০১৯–এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে কলঙ্কিত করতেই এই ধরনের মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
মি টু আন্দোলনের আঁচ এসে পড়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও৷ প্রাক্তন এই সাংবাদিক ও বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা সাংবাদিককে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে৷ এই নিয়ে সরগরম দিল্লির রাজনীতি৷ তবে যেই সময় এই অভিযোগগুলি ওঠে তখন আকবর ছিলেন নাইজেরিয়ায়৷ তাঁকে তড়িঘড়ি দেশে ফিরতে বলা হয় ৷ রবিবার সকালে দিল্লির বিমানবন্দরে পা রাখতেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, পরে বিবৃতি দিয়ে সব জানানো হবে৷
উল্লেখনীয়, এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠামাত্র তার পদত্যাগের দাবি করেন কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম)।
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এম জে আকবর নিয়ে কংগ্রেস কি অবস্থান নেবে সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অনন্দ শর্মা বলেন, দল নিজের অবস্থানে অনড়। বিষয়টি নিয়ে দলের সভাপতি এবং অন্যান্য নেতারা আগেই মুখ খুলেছে। উল্লেখনীয়, যৌন হেনস্থা প্রসঙ্গে এম জে আকবরের পদত্যাগ দাবি করেছিল কংগ্রেস।
নারী নিরাপত্তা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে বিদ্রুপ করে আনন্দ শর্মা বলেন, ”বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও নিয়ে যে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিতে পারেন। যে প্রধানমন্ত্রী নারীদের সম্মান, দেশজুড়ে বোন ও কন্যাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেন সেই তিনি কিনা এই বিষয়ে নীরব রইলেন। তাঁর নীরবতা অসহনীয়। তিনি রাষ্ট্রের প্রধান। তাই তাঁর সিদ্ধান্ত ও দৃষ্টিকোণ সবার জানা প্রয়োজন।”
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আকবরের বিরুদ্ধে একের পরে এক যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে গত কয়েক দিনে ক্রমাগত উঠেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার আগে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। তখনই এই কুকীর্তি করেন তিনি। বিজেপি সূত্রে খবর, দল আকবরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *