এক ব্যক্তির নামে একাধিক অটো পারমিট, আইন বদলে সংশোধনী আনছে সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ অক্টোবর৷৷ এক ব্যক্তির নামে একাধিক অটোর পারমিট রয়েছে৷ তাই, তাদের পারমিট বাতিল করা এবং একই ব্যক্তির নামে একাধিক পারমিট ইস্যু করা বন্ধের উদ্দেশ্যে আইনে সংশোধনী আনছে রাজ্য সরকার৷

এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ জানিয়েছেন, গত ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে ত্রিপুরা মোটর ভেহিকালস সপ্তম সংশোধনী রুলস অনুমোদন করা  হয়েছে৷ তিনি জানান, নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটা লক্ষ্য করা গেছে যে, ১ জন ব্যক্তি একাধিক অটো পারমিট নিয়ে রেখেছেন এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই পারমিট বিক্রিও করেছেন৷ এ সম্পর্কে তথ্য দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৫০৭ জনের কাছে ২ টি করে, ১৭ জনের কাছে ৩টি করে, ৩ জনের কাছে ৪টি করে, ২ জনের কাছে ৫টি করে, ১ জনের কাছে ৬টি ও অন্য ১ জনের কাছে ১১টি অটো পারমিট রয়েছে৷ তিনি বলেন, এই সংশোধনী আনার ফলে বেকার যাদের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে তারাই এই অটো পারমিটগুলি পাবে৷

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্যে পশ্চিম জেলায় একটি জওহর নবোদয় বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য মোহনপুর মহকুমার মোহনপুর মৌজার ২০  একর খাস জমি জওহর নবোদয় বিদ্যালয় সমিতিকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গত ৯ অক্টোবর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া হয়েছে৷ এই ২০ একর জমির প্রিমিয়াম মূল্য ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা নবোদয় বিদ্যালয় সমিতিকে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায় গৃহিত হয়েছে৷

শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যে আইএস/আইপিএস আধিকারিকরা যেমন অনলাইনে প্রপার্টি রিটার্ন জমা করেন, তেমনি রা্যজ সরকারের গ্রুপ এ, বি ও সি ক্যাটাগরির কর্মচারীদের জন্য প্রপার্টি রিটার্নের ক্ষেত্রে অনলাইন পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া  হয়েছে৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরা পুনর্নবীকরণ শক্তি উন্নয়ন সংস্থা বা ট্রেডা নামে যে সংস্থাটি সোলার এনার্জির উপর কাজ করে, এর মূলত প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ রাজ্যের বিজ্ঞান,  প্রযুক্তি  ও পরিবেশ দপ্তর থেকে সরিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরে দেওয়া হয়েছে৷ কারণ ট্রেডাকে বিদ্যুৎ দপ্তরের সাথে সমম্বয় রেখে কাজ করতে হয়৷ সোলার এনার্জিকে বিদ্যুৎ দপ্তরের গ্রিড সিস্টেমের সাথে যুক্ত করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া  হয়েছে৷ এতে বিদ্যুৎ ভোক্তাদের বিলের ক্ষেত্রে সাশ্রয় হবে৷ বিদ্যুৎও সাশ্রয় হবে৷

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এছাড়াও মন্ত্রিসভায় কেন্দ্রীয় মিনিস্ট্র অব পারসোনাল, পাবলিক গ্রিভেনসেস এন্ড পেনশনস মন্ত্রকের অধীনে যে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের গাইডলাইন রয়েছে তা রাজ্যে গ্রহণ করার ফলে তথ্যবিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে হয়রানি কমবে বলে তিনি জানান৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *