BRAKING NEWS

সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য নারী ও পুরুষকে সমানভাবে দায়ি করলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ অক্টোবর৷৷ সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য নারী ও পুরুষ উভয়কেই সমানভাবে দায়ি করেছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্নালী গোস্বামী৷ তিনি স্বীকার করেন, অনেক ক্ষেত্রে মহিলারাও পুরুষদের উপর নির্যাতন করেন৷ তেমনিই পুরুষরাও মহিলাদের উপর নির্যাতন করে থাকেন৷ ফলে, সামাজিক অবক্ষয় প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে৷

মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সাফ জানান, রাজ্যে সামাজিক অবস্থার জন্য নারী ও পুরুষ উভয়েই সমানভাবে দায়ি৷ তাতে সামাজিক অবক্ষয় মারাত্মক ভাবে বেড়ে চলেছে৷ তাঁর কথায়, রাজ্যে প্রতিনিয়তই মহিলারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন৷ তেমনিই অনেক ক্ষেত্রে মহিলারাও নির্যাতন করছেন৷ সাথে যোগ করেন, বর্তমান সময়ে মহিলাদের নানাহ সিদ্ধান্তে ভূলভ্রান্তি থাকছে৷ ফলে, সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে না৷ তাঁর আবেদন, মহিলারা নির্যাতন বন্ধ করুন৷

এদিন তিনি আরও বলেন, নারীদের উপর নির্যাতন একটি সামাজিক ব্যাথি৷ মহিলা কমিশন একা বা রাজ্য সরকারের পক্ষে নারীদের উপর নির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব হবেনা৷ এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন৷ তাঁর কথায়, আজ তিন মাস হলো মহিলা কমিশনের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে৷ তিন মাসে কাজের মাধ্যমে কিছুটা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা সম্ভব হয়েছে৷ তাঁর বক্তব্য, মহিলারা যেহেতু আর্থ সামাজিক দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে তাই তাদের উপর নির্যাতন করা সহজ৷ মহিলা কমিশনের কাজ তাদের উপর নির্যাতন প্রতিরোধ করা, তাদের সাহায্য করা৷ তারা যেন সঠিক বিচার পায় তার ব্যবস্থা করা৷ তাঁর সাফ কথা, সরকার পরিবর্তন হলেই হঠাৎ করে নারী নির্যাতন বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়৷ যারা সরকার পরিবর্তনে সামিল হয়েছেন তাদের সবাইকে এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে৷

চেয়ারপার্সন শ্রীমতি গোস্বামীর দাবি, গত তিন মাসে মহিলা কমিশন রাজনীতির বাইরে গিয়ে প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা ও নির্যাতিতাদের সাহায্য করে বিচার পাওয়ার ব্যবস্থা করতে কাজ করেছে৷ এখন চার পাঁচ বছর আগের নির্যাতনের ঘটনায় সুবিচার না পাওয়া মহিলারাও আসছেন বিচারের আশায়৷ তিনি বলেন, কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া, বিয়েতে পণ দেওয়া ও নারী নির্যাতনের বিভিন্ন কারণের মধ্যে অন্যতম৷ তিনি অভিভাবকদের কাছে আবেদন জানান, তারা যেন তাদের মেয়েকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলেই বিয়ে দেন৷

চেয়ারপার্সন জানান, আগামী মাস থেকে মহিলা কমিশন বিভিন্ন জেলায় যাবেন মহিলাদের কথা শুনতে৷ কারণ অনেক মহিলাই বিভিন্ন কারণে আগরতলায় এসে তাদের কথা বলতে পারেননা৷ কোন জেলায়, কবে, কোথায় মহিলা কমিশন যাবে তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে৷ তিনি বলেন, বিক্ষিপ্তভাবে কিছু নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ প্রশাসন দোষীদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোতভাবে মহিলা কমিশনকে সহযোগিতা করছে৷ তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামী দিনে রাজ্যে অবশ্যই নারীদের উপর নির্যাতনের হার কমবে৷ এজন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *