BRAKING NEWS

গ্রেনেড হামলা মামলা : বাবর ও পিন্টু-সহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

ঢাকা, ১০ অক্টোবর (হি.স.): ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু-সহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিল আদালত| একই সঙ্গে বিএনপি-র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমান-সহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে| বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে আরও ১১ জন আসামির| বুধবার পুরাতন ঢাকার নিজামউদ্দিন রোডে অবস্থিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেছেন| রায় ঘোষণা উপলক্ষ্যে আসামিদের আদালতে উপস্থিত রাখতে, বুধবার ভোরেই তাদের গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকায় আনা হয়। প্রথমে তাদের রাখা হয় বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসায় অস্থায়ী আদালতের কারাগারে। পরে তাদের আদালতে তোলা হয়।

চার্জশিটে যে ৩০ জনকে আসামি করা হয় তারা হলেন-বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, খালেদা জিয়ার প্রাক্তন রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও জোট সরকারের মন্ত্রী আলি আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, এনএসআইয়ের প্রাক্তন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, ডিজিএফআইয়ের মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন, পুলিশের প্রাক্তন আইজি আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খোদা বকস, ডিএমপির তৎকালীন উপ-কমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান, সাবেক উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, হুজির আমির মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা আবদুল হান্নান ওরফে সাব্বির, মাওলানা আবদুর রউফ, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, ডিজিএফআই’র প্রাক্তন আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার (বরখাস্ত), বিএনপির ঢাকা মহানগর নেতা আরিফুর রহমান, হুজির সাবেক আমির ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক মাওলানা আবদুস সালাম, কাশ্মীরি জঙ্গি আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোস্তফা, সিআইডির বিশেষ সুপার রুহুল আমিন, প্রাক্তন এএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান, সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ, হানিফ পরিবহনের মালিক বিএনপি নেতা মোহাম্মদ হানিফ, হুজি সদস্য হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও বাবু ওরফে রাতুল বাবু।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামি লিগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়| অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ালি লিগ সভাপতি, তত্কালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা| তবে, হামলায় মারা যান আওয়ামি লিগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান-সহ ২৪ জন| আহত হন শতাধিক নেতা-কর্মী|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *