BRAKING NEWS

ভিশন ডকুমেন্টে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ, প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা,২০ সেপ্ঢেম্বর৷৷  ভিশন ডকুমেন্টে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব

বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷

কুমার দেব৷ বৃহস্পতিবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন৷ স্পেশাল প্ল্যান এসিস্টেন্স এবং সপ্তম বেতন কমিশন প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ মঞ্জুরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন৷ পাশাপাশি নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলার লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী অবগত করান মুখ্যমন্ত্রী৷

মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাৎ করেন৷ প্রধানমন্ত্রীর কাছে গ্রাম স্বরাজ অভিযানের অঙ্গ হিসাবে ত্রিপুরায় যেসব কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে তার অগ্রগতি তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী৷ যে সমস্ত প্রকল্পের অগ্রগতির প্রতিবেদন আজ মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরনের সেগুলি হল আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জনআরোগ্য অভিযান (এ বি-বিএমজেএওয়াই),  প্রধামন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা (পিএমইউওয়াই) / (উজ্জ্বলা), পিএম সহজ বিজলি হর ঘর যোজনা (সৌভাগ্য), উন্নত জ্যোতি -এল ই ডি (উজালা),  জনধন অ্যাকাউন্টস (পিএমজেডিওয়াই), প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বীমা যোজনা (পিএমজেজেবিওয়াই), প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা (পিএমএসবিওয়াই) এবং এমজিএন রেগা৷

মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরায় এ সমস্ত প্রকল্পের সুষ্ঠ বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ চেয়েছেন এবং ত্রিপুরার উন্নয়নে নিরন্তরভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে বলে তিনি পুনরায় দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন৷ ত্রিপুরার যে সমস্ত ক্ষেত্রে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে এবং রাজ্যের মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন এমন যে সমস্ত বিষয়ে জোর দিয়ে রাজ্যের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য রাজ্য সরকার সম্প্রতি যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কৃষি, উদ্যান পালন এবং মৎস্য ক্ষেত্রের উন্নয়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন৷ এই তিনটি ক্ষেত্রে সাফল্য পেলে রাজ্যের বাৎসরিক পাঁচ হাজার কোটি টাকার মতো সাশ্রয় হবে৷

প্রধানমন্ত্রীর ‘নতুন ভারত’ ভিশনের অনুকরণে নতুন ত্রিপুরা গঠনের যে  দিশা নেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী তা পুনরায় উল্লেখ করেন৷ রাজ্যের নতুন সরকারের এই কর্মসূচি রূপায়ণে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সহায়তা চেয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী এই আত্মপ্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে বিজেপি কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় জায়গায় ক্ষমতায় থাকায় কেন্দ্রের পূর্ণ সহযোগিতা রাজ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে নেওয়া এই দিশা সহজেই পূর্ণতা পাবে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্য সরকারের গৃহীত এই উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন ও রাজ্য সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করে যাওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷

নীতি আয়োগ বর্তমানে চলা ৮১টি প্রকল্প রূপায়ণের জন্য স্পেশাল প্ল্যান এসিস্টেন্স হিসাবে ত্রিপুরাকে ৩৫৮৭০ কোটি টাকা দেওয়ার জন্য যে সুপারিশ করেছে তা মঞ্জুর করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন৷ পাশাপাশি ভিশন ডকুমেন্টে ত্রিপুরার জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সপ্তম বেতন কমিশনের জন্য বিশেষ সহায়তা হিসাবে ত্রিপুরাকে ১৫০০ কেটি টাকা দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন৷ প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷

‘নেশামুক্ত ত্রিপুরা’ প্রচারাভিযানের মাধ্যমে ত্রিপুরাকে ড্রাগের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত রাখার জন্য রাজ সরকার সম্প্রতি যে নিয়েছে সে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের ১৯ সেপ্ঢেম্বর পর্যন্ত এই অভিযনের অঙ্গ হিসাবে ৪৫ হাজার কেজি কেনাবীস, ৮৮ হাজার কফ সিরাপের বোতা, ১৪৮ লক্ষ ট্যাবলেট, ২৫০০ কেজি হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা  হয়েছে৷ ১৬৯ কোটি  গাঁজা গাছের ধবংস করা হয়েছ৷ কেনাবীসের চাষ যে সমস্ত জায়গায় হতো সেকানে বন, কৃষি, উদ্যান পালন ও প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের সহায়তায় বি কল্প আয়ের যে সমসত উদ্যোগ নেওয়া হ য়েছে সে সমস্ত বিষয়ে মুক্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন৷ প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগের বূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং নেশামুক্ত ত্রিপুরা অভিযনে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *