এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৩৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

দুবাই, ১৬ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : জয় দিয়েই এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করল বাংলাদেশ। উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৩৭ রানে হারাল তারা। উদ্বোধনী ম্যাচ জিতে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্থানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের শুরুটা দেখে একেবারেই বোঝার উপায় ছিল না এত সহজে জয় ছিনিয়ে নেবে তারা। প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেটের পতন, এরপর নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের আহত হয়ে মাঠ ছাড়ার ঘটনা শনিবার ম্যাচে শুরুতেই চাপে ফেলে দেয় বাংলাদেশকে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলেন মুশফিকুর রহিম। মূলত তাঁর ঝকঝকে শতরান এবং মহম্মদ মিঠুনের অর্ধশতরানে ভর করে দুরন্ত জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজা। প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে মালিঙ্গা প্যাভিলিয়নে ফেরান লিটন দাস এবং সাকিব আল হাসানকে। ১ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর লাকমলের ডেলিভারিতে কব্জি ভেঙে মাঠ ছাড়েন তামিম ইকবাল। দু’রানের মধ্যে তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে আরও চাপে পড়ে যায় মোর্তাজারা। দলের হাল ধরেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন মহম্মদ মিঠুন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে তৃতীয় উইকেটে তাদের ১৩১ রানের পার্টনারশিপ ম্যাচে ফেরায় বাংলাদেশকে। লাকমল, আপোন্সো, পেরেরাদের বেধড়ক ঠেঙিয়ে এদিন একদিনের ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। পাশাপাশি অর্ধশতরান করে দলকে বড় রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান মিঠুন। ব্যক্তিগত ৬৩ রানে তিনি আউট হলেও থামানো যায়নি মুশফিকুরকে। ১৫০ বলে মুশফিকুর ১৪৪ রানে থামতেই ২৬১ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালই করেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ২২ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয় শ্রীলঙ্কার। এরপর থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। মুস্তাফিজুর, সাকিবদের দাপটে ক্রিজে দাঁড়াতে পারেনি শ্রীলঙ্কার কোন ব্যাটসম্যানই। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন দিলরুবান পেরেরা (২৯)। মাত্র ৩৫.২ ওভারেই ১২৪ রানে শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে জোড়া উইকেট নেন অধিনায়ক মোর্তাজা, মুস্তাফিজুর এবং মেহদি হাসান। সাকিব, রুবেল এবং মোসাদ্দেক নেন একটি করে উইকেট। ম্যাচের সেরা হয়েছেন মুস্তাফিজুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *