BRAKING NEWS

বিহারের আবাসিক সুকলে নির্যাতনের শিকার ১৫ জন নাবালক রাজ্যে ফিরল

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ সেপ্ঢেম্বর৷৷ প্রায় দুই বছর যাবৎ নানা ধরনের নির্যাতন সহ্য করে শেষে রাজ্যে ফিরল ১৫ জন নাবালক ছাত্র৷ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কিছু নাবালককে একটি এনজিও বিহারের বুদ্ধগয়ায় একটি রেসিডেন্সিয়াল সুকলে পড়াশুনার জন্য নিয়ে গিয়েছিল৷ যে প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাস দিয়ে ঐ সংস্থাটি তাদের নিয়ে গিয়েছিল সেই প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসের কোন মূল্য রাখা হয়নি৷ অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের চিন্তা করে তাদের সেখানে পাঠিয়েছিলেন৷ কিন্তু, ঐ রেসিডেন্সিয়াল সুকলের মধ্যে গত প্রায় দুই বছর যাবৎ কচিকাঁচা নাবালকদের উপর চলে নানা ধরনের নির্যাতন৷ ঐ রেসিডেন্সিয়াল সুকলে ত্রিপুরা ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য থেকে আবাসিক ছাত্রদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ বিশেষ করে চাকমা ও মগ সম্প্রদায়ের ছেলেদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ সেখানে তাদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হতো না, সুকল ও ছাত্রাবাসের পরিকাঠামোও তেমন ভাল নয়৷ যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে ঐ সুকল থেকে কিছু ছাত্র পালিয়ে যায়৷ আবার কিছু ছাত্রকে তাদের অভিভাবকরা ফিরিয়ে নিয়ে যায়৷

এরপরও চলত নির্যাতন৷ শেষে এই বিষয়ে একটি মহল সক্রিয় হন৷ বিষয়টি নতুন সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মনের পিএস-কে জানানো হয়ে৷ পিএস বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গোচরে নেন৷ তারপরও বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তৎপরতা৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিষয়টি বিহার সরকারের শিশু অধিকার রক্ষা আয়োগের গোচরে নেন৷ সেই সাথে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগকেও অবহিত করা হয়৷ অত্যন্ত তৎপরতার সাথে বিহার পুলিশ ঐ রেসিডেন্সিয়াল সুকল থেকে ১৮ জন নাবালক ছাত্রকে উদ্ধার করে৷ বিহার পুলিশের কয়েকজন আধিকারীক শুক্রবার এই শিশুদের রেলে করে আগরতলায় নিয়ে আসেন৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন সহ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের প্রতিনিধিরা রেল স্টেশনে গিয়ে শিশুদের সাথে কথা বলেন৷ বর্তমানে তাদেরকে একটি হোমে রাখা হয়েছে৷ এদিন যে ১৮ জন শিশুকে আগরতলায় নিয়ে আসা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৫ জন রাজ্যের এবং বাকি তিনজন ইটানগরের৷ কোন সংস্থা কি উদ্দেশ্যে এই নাবালকদের বিহারে নিয়ে গিয়েছিল এবং কেন তাদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে সেসব জানার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে প্রশাসনিক তদন্ত শুরু হয়েছে বলে খবর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *