গুয়াহাটি, ১২ সেপ্টেম্বর, (হি.স.) : ভূমিকম্পের ধাক্কায় কেঁপে উঠেছে রাজধানী গুয়াহাটি ও পার্শ্ববর্তী এলাকা-সহ গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল। নিম্ন থেকে উজান অসম পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ভূমিকম্পের ঝাকুনি। আজ বুধবার সকাল ১০টা ২১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে সংঘটিত ভূমিকম্পের তীব্রতা রিখটার স্ক্যালে ছিল ৫.৩ ছিল। ভূকম্প স্থায়ী ছিল প্রায় ৩২ সেকেন্ড।
কয়েক সেকেন্ডব্যাপী ভূমিকম্পের দরুন আতংকিত মহানগরের মানুষজন বাড়িঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়েন। বিশেষ করে নিজের নিজের কাৰ্যালয়ে যাওয়ার সময় সংঘটিত তীব্র কম্পনে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। বহুতল বাড়ির অধিকাংশ মানুষ তাঁদের আবাসন থেকে দৌড়ে নীচে নামতে গিয়ে হুড়োহুড়ি লেগে যায়।
জানা গেছে, অসম-ঘেঁষা পড়শি উত্তরবঙ্গেও (পশ্চিমবঙ্গ) ভূমিকম্পের ঝাকুনি লেগেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া ভূকম্পের ঝটকা অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভুটান, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারেও। তবে এখন পর্যন্ত কোথা থেকে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
মাৰ্কিন যুক্তরাষ্ট্ৰের জিওলজিক্যাল সাৰ্ভে সংক্ষেপে ইউএসজিএস-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ৫.৩ প্ৰাবল্যের এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল অসমের কোকরাঝাড় জেলার সাপটগ্ৰাম থেকে প্রায় সাত (৭) কিলোমিটার উত্তরে ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী সিথিলাগ্ৰামের ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। এপিএফ ২৬.০৪° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.০১° পূর্বে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, এর আগে ২২ আগস্ট রাত ৭-টা ৫৫ মিনিটে মৃদু ভূকম্পে কেঁপে উঠেছিল গুয়াহাটি সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল। তাছাড়া ১১ জুনেও সংঘটিত হয়েছিল ভূমিকম্প। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত এ নিয়ে অসম-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ১৪ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গত ১ জানুয়ারিতে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল মণিপুরের ইমফলে। এছাড়া, ৫ জানুয়ারি অসমের কারবি আংলঙে ৪ তীব্রতার ভূকম্প অনুভূত হয়। এদিনই রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তে ৩.৪ তীব্রতার ঝটকা দেয়। এভাবে ৬ ডিসেম্বর অসমের নগাঁও জেলায় ৩.২ তীব্রতার ভূমিকম্প হয়েছিল।
আবহাওয়া দফতর সূত্র বলেছে, সিসমিকের হিসেবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল পাঁচের মধ্যে রাখা হয়েছে। তাই অঞ্চলে ঘন-ঘন ভূকম্প সংঘটিত হয়।