BRAKING NEWS

সরকারী আইনজীবির উপর আস্থা না থাকলে পছন্দমত আইনজীবি বাছাই করতে পারবেন বিচারপ্রার্থীরা ঃ আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ আগস্ট৷৷ সরকারী আইনজীবিদের উপর ভরসা রাখতে না পারলে পছন্দ মত আইনজীবি বাঁছাই করতে বিচারপ্রার্থীদের সাহায্য করবে রাজ্য সরকার৷ এমন ১০টি মামলায় পছন্দ মত আইনজীবি বেঁছে নিয়েছেন বিচারপ্রার্থীরা৷ এ কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ৷ পাশাপাশি সাজার হার বাড়াতে সরকারি আইনজীবিদের বিশেষ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার, জানিয়েছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, সাজার হার বাড়ানোর জন্য সরকারী আইনজীবিদের পারিশ্রমিকও বৃদ্ধি করা হয়েছে৷
আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে সাজার হার দেশের অনেক রাজ্যের তুলনায় কম৷ তাই, সাজার হার বাড়াতে সব রকম উদ্যোগ নেওয়া হবে৷ তাতে আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে৷ তাঁর কথায়, সরকারী আইনজীবিরা নির্ভুল ভাবে কাজ করলে সাজা হবেই৷ এক্ষেত্রে সরকারী আইনজীবিদের বিস্তত্ব হওয়ার পাশাপাশি সৎ থাকতে হবে৷ এমনকি, তাঁরা কোনও কিছুতেই প্রলোভিত হতে পারবেন না৷
আইনমন্ত্রীর কথায়, রাজ্যে বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার গঠন হওয়ার পর প্রথম বাজেটেই সরকারী আইনজীবিদের জন্য বাজেটে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে৷ তিনি জানিয়েছেন, এডভোকেট জেনারেল প্রতিমাসে সর্বাধিক ১ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা পেতে পারেন৷ উচ্চ আদালতের পিপি এবং জিএ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা পেতে পারেন৷ তিনি আরও জানান, উচ্চ আদালতের এপিপি এবং এজিএ ৬৬ হাজার ৬৫০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন৷ তেমনি জেলা আদালতের পিপি এবং জিপি ৬১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত পাবেন৷ একই ভাবে জেলা আদালতের এপিপি এবং এজিপিও ৬১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন৷ বিচারবিভাগীয় আদালতের এপিপি ৩৮ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পেতে পারেন৷
আইনমন্ত্রীর বক্তব্য, রাজ্যে সাজার হার বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ সরকারী আইনজীবিদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে এই উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদী৷ তাঁর কথায়, মে মাসে ৯০ জন সরকারী আইনজীবিদের নিয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ তেমনি জুলাই মাসে ৩৯ জন সরকারী আইনজীবিদের বিশেষ প্রক্ষিক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷ আগামী নভেম্বর মাসে ২৫ জন পিপিদের নিয়ে আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এদিকে, গত জুন মাসে ২৫ জন পুলিশ আধিকারীকদের নিয়েও একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন৷ সাথে তিনি যোগ করেন আগস্ট মাসে শুধু নেশা সংক্রান্ত মামলা নিয়ে ২০০ জন পুলিশ কর্মীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷ পণ ঘঠিত মামলা কিভাবে পরিচালনা করতে হয় এর জন্য ৫০ জন পুলিশকর্মীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে৷ তিনি আরও জানান, গার্হস্থ হিংসায় নির্যাতিতাদের পাশে সরকারী আইনজীবিরা কিভাবে দাঁড়াবেন সেই পরিকল্পনাও রয়েছে রাজ্য সরকারের৷
তিনি জানিয়েছেন, কোনও নির্যাতিতা কিংবা ধর্ষিতা যাতে ন্যায় বিচার পান তা সুনিশ্চিত করবে রাজ্য সরকার৷ তাছাড়া, কোনও মামলায় সরকারী আইনজীবিদের উপর আস্থা রাখতে না পারলে বিচারপ্রার্থীরা নিজেদের পছন্দমতো আইনজীবিদের দিয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন৷ এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সব রকম সহায়তা করবে৷ নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত এমন ১০ টি মামলায় বিচারপ্রার্থীরা সরকারি আইনজীবিদের বদলে পছন্দ মত আইনজীবি বেঁছে নিয়েছেন৷ রাজ্য সরকার তাদের সহায়তা করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *