BRAKING NEWS

গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩২০৪ এবং পঞ্চায়েত সমিতির ১৬১ শূণ্য আসনে

উপ-নির্বাচন ২৩ সেপ্ঢেম্বর, গণনা ২৫শে
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ আগস্ট৷৷ ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতে শূণ্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৩ সেপ্ঢেম্বর৷ গণনা হবে ২৫ সেপ্ঢেম্বর৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমনটাই জানা গেছে৷ সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের শূণ্য আসনে উপ-নির্বাচনের সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ ইতিমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে৷ তাছাড়া, নিয়ম অনুযায়ী যেকোন আসন শূণ্য হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করতেই হবে৷ তাই, উপ-নির্বাচনের দিনক্ষণও একপ্রকার চুড়ান্ত করে ফেলেছে দপ্তর৷সূত্রের খবর, আগামী ২৮ আগষ্ট ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে উপ-নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে৷ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার অন্তিম তারিখ ৪ সেপ্ঢম্বর৷ ৫ সেপ্ঢেম্বর সমস্ত মনোনয়ন পত্র পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হবে৷ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের অন্তিম তারিখ ৭ সেপ্ঢেম্বর৷রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আগামী ২৩ সেপ্ঢেম্বর ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতের গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ এদিকে, যদি পুনঃভোটের প্রয়োজন হয় তার জন্য ২৪ সেপ্ঢেম্বর দিনটি ধার্য্য করা হয়েছে৷ গণনা হবে ২৫ সেপ্ঢেম্বর৷ কমিশন সূত্রের খবর, উপ-নির্বাচনের সমস্ত প্রক্রিয়া ৩০ সেপ্ঢেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে৷
সম্প্রতি, রাজ্য নির্বাচন কমিশন খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে৷ উপ-নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন প্রায় ৭ লক্ষ ৭১ হাজার৷ আগামী ২৩ সেপ্ঢেম্বর তাঁরা উপ-নির্বাচনে ভোট দেবেন৷ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির শূণ্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬১১১টি আসনের মধ্যে ৩২০৪টি শূণ্য আসনে এবং পঞ্চায়েত সমিতির ১৬১টি আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷
উল্লেখ্য, উপ-নির্বাচনে স্বাভাবিকভাবেই প্রাধান্য পাবে বিজেপি-আইপিএফটি৷ কারণ, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন পঞ্চায়েতে অচলাবস্থা দেখা দিতে শুরু করে৷ বামফ্রন্টের পঞ্চায়েত প্রধান, উপ-প্রধান সহ সদস্যরা পদত্যাগ করতে শুরু করেন৷ অনেকে বিনা নোটিশে ছুটি কাটাতে রাজ্যের বাইরে চলে যান৷ পঞ্চায়েত স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিরাট অংশ পদত্যাগ করেন৷ তবে, কিছু আসন স্বাভাবিকভাবেই খালি হয়েছে৷ সবগুলিকে একত্রিত করে আগামী ২৩ সেপ্ঢেম্বর উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷
উপ-নির্বাচনে বিজেপি, আইপিএফটি, বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং আইএনপিটি লড়াইয়ে মূল ভূমিকা পালন করবে৷ শাসক দল হিসেবে বিজেপি-আইপিএফটি এবার বিরোধী বামফ্রন্টকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল৷ কংগ্রেস এই উপনির্বাচনে মুখ রক্ষা করতে পারবে বলে কেউ মনে করছেন না৷ তবে, বামফ্রন্টও খুব একটা সুবিধা করতে পারবে বলেও মনে হচ্ছে না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *