কলকাতা, ৮ আগস্ট (হি. স.) : অসমের এনআরসি নিয়ে এবার সরব হলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রামানিয়াম স্বামী। টুইট করে বলেছেন, “ভারতের বাংলাদেশকে সাফ বলা উচিত যে ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের তোমরা ফিরিয়ে নাও নতুবা ১৯৪৭ এর সময় ভারতে থাকতে অস্বীকার করা মুসলিমদের জন্য ভারত যে জমি বাংলাদেশকে প্রদান করেছিল তা ফিরিয়ে দাও।”
এনআরসি নিয়ে রাজনীতির বিতর্ক তুঙ্গে। এনআরসি-র খসরা বেরোনোর পর অবৈধ বাংলাদেশিদের নিয়ে বাংলাদেশ অস্বস্তিকর প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। তাতে রাজনীতি আরও জেগে উঠেছে। বাংলাদেশ জানিয়েছে যে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী মানুষ বাংলাদেশের নয়। বাংলাদেশের দাবি, তাদের দেশের আর্থিক অবস্থা ভালো তাই ভারতে কেউ বসবাস করতে পারে না। এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার তাই এখানে আমরা নাক গলাবো না। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধীরা মোদী সরকারের সমালোচনায় নেমে পড়েছে।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জির খসরা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে থেকে বাদ গিয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের নাম। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই কাজ কে সমর্থন করেছেন। অরুন জেটলি যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, অসমে যে হারে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে, সেই হার হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে ছাপিয়ে গিয়েছে। স্বামী বুঝিয়ে দেন যে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করে কট্টরপন্থী মুসলিমরা আলাদা আলাদা ভাবে ভারতকে টুকরো করে জমি নিয়েছিল। এখন যদি তারাই আবার ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে তাহলে আমরা সেই দেশের কিছু জমি দখল করে নেব যাতে অবৈধ বিদেশিদের থাকতে দিতে পারি।
টুইটের ভিত্তিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বামী বলেন, \” আসলে ইংরেজরা হিন্দু শাসিত ভারত ও মুসলিম শাসিত পাকিস্থান করে ভারতকে ভেঙেছিল। কিন্তু কংগ্রেস সেটা অস্বীকার করে বলে যে না আমরা হিন্দু শাসিত করবো না, আমরা ধর্মনিরপেক্ষ দেশ তৈরি করবো। এখন অবৈধভাবে পাকিস্থানিরা ও বাংলাদেশিরা ভারতে ঢুকতে চাইছে, তাহলে দেশভাগ কি জন্য করা হয়েছিল? এখন যদি অবৈধ বাংলাদেশিরা ভারতে থাকতে চাই তাহলে আমরা মুসলিমদের থাকার জন্য যে জমি দিয়েছিলাম সেটার কিছু অংশ কেড়ে নেওয়া হবে।”
স্বামী বলেন, \”আপনাদের জানিয়ে রাখি, দেশের প্রায় প্রত্যেক রাজ্যে অবৈধ বাংলাদেশি মুসলিমরা ও রোহিঙ্গারা আস্তানা গেড়ে দেশের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করছে। অন্যদিকে কংগ্রেস ও বামপন্থীরা ৬০ বছর ধরে নিজের ভোটব্যাঙ্কের জন্য এদেরকে ভোট দেওয়ার অধিকার প্রদান করে।