নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ জুলাই ৷৷ শনিবার দুপুরে হাল্কা বৃষ্টি হওয়ায় সাময়িক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন রাজ্যবাসী। মেঘলা আকাশ। তবে ভ্যাপসা গরম জাঁকিয়ে বসেছে। এথেকে পরিত্রাণ পেতে চাইছেন সাধারণ জনগণ।বিগত কয়েক দিন ধরে যেভাবে রাজ্যে তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছিল তাতে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। গরমে শিশু থেকে বৃদ্ধা অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালগুলিতে লম্বা লাইন পড়ছে। এরই মধ্যে তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে রাজ্যে মৃত্যুর খবর এসেছে। জানা গেছে, দক্ষিণ জেলায় বীরসিং জামাতিয়া নামের এক ব্যক্তি জুম খেতে গিয়েছিলেন চাষাবাদে। কিন্তু প্রচণ্ড দাবদাহের ফলে সান স্ট্রোকে তিনি মারা যান।
কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমে মানুষের কাজকর্মেও ছন্দ পতন ঘটেছে। দিনের বেলায় প্রচণ্ড দাবদাহে কেউ বিশেষ কোনও কাজ না থাকলে ঘর থেকে বের হতে চাচ্ছেন না। রাস্তায় দোকানপাটও সে রকম খোলেনি। বিশেষ করে দুপুরের দিকে প্রায় সমস্ত দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। গরমর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে লোডশেডিংও। সন্ধ্যার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিঙের মাত্রা বেড়ে যায়। তবে শনিবার দুপুরের দিকে রাজ্যের কয়েকটি স্থানে ঝড়ো হাওয়া এবং হাল্কা বৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ মানুষ সাময়িক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। কিন্তু আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং ভ্যাপসা গরমে হা-পিত্যেস করছেন সাধারণ মানুষ।এদিকে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা গরমের হাত থেকে খানিকটা হলেও রেহাই পাওয়া যাবে। কারণ আগামী ২৪ ঘণ্টা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।