BRAKING NEWS

ভাড়ার দৌরাত্ম্য ঃ আরএসএস চুপ কেন

সায়ন্তক চৌধুরী

ইদানিং গুঞ্জনে ভেসে উঠেছে একটা প্রশ্ণ৷ কিছুদিন আগেও এমন প্রশ্ণের অস্তিত্ব ছিল না৷ কেননা, মানুষ তখন বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিল৷ কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের একটি বক্তব্যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়৷ স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি প্রশ্ণের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে৷ এ প্রশ্ণের উত্তরে যে নাম উঠে এলো তা রাজ্যবাসী ভাবতে পারেনি৷ রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন নিয়ে প্রশ্ণ উঠে আসে৷ বিশেষ করে সিট্যুর পরিবর্তে বিভিন্ন যান বাহনের ক্ষেত্রে যে নামটি তা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়৷ সম্প্রতি রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সেই বিভ্রান্তির অবসান ঘটালেন৷ তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন যে, বিএমএস তথা ভারতীয় মজদুর সংঘ বিজেপির অঙ্গ সংগঠন নয়৷ বিএমএসের সাথে বিজেপির কোন সম্পর্ক নেই৷ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ তথা আরএসএসের অধীনে রয়েছে ভারতীয় মজদুর সংঘ তথা বিএমএসের সাথে বিজেপির কোন সম্পর্ক নেই৷ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ তথা আরএসএসের অধীনে রয়েছে ভারতীয় মজদুর তথা বিএমএস৷

বিএমএসের বিষয়টি খোলসা হবার পর রাজ্যবাসীর সামনে আর এক প্রশ্ণের উদয় হন৷ বিএমএস তুমি কার? সত্যি কি আর এস এসের? মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷ তাই বিভ্রান্তির কোনও অবকাশ নেই৷ দেশজুড়ে আরএসএস একটি সামাজিক সংগঠন হিসাবে পরিচিত৷ সক্রিয় ভাবে রাজনীতির সাথে এ সঙ্ঘের কোনও সম্পর্ক নেই৷ ভারত মাতার সেবায় উৎসর্গকৃত আরএসএস৷ ভারতীয় ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংসৃকতিকে আঁকড়ে ধরে আরএসএস পল্লবিত হচ্ছে৷ আরএসএসে প্রতিটি কর্মী দাবি করেন- তারা রাজনীতি থেকে যোজন মাইল দূরে রয়েছেন৷ রাজনীতির ব্যাপারে তারা আগ্রহী নন৷ ভারত মাতার সেবায় তারা নিবেদন প্রাণ৷ সেই হিসাবে দেশজুড়ে নানা সামাজিক কাজে তারা নিজেদেরকে সম্পৃক্ত রেখেছেন৷ এদিকে, বিএমএস তাদের অঙ্গ সংগঠন? তাইবা কি করে হয়? তা যদি হয় তাহলে বিভিন্ন চালকদের দৌরাত্ম্য কি করে বৃদ্ধি পায়? কি করে চালকরা নিজেদের ইচ্ছামত  চলতে পারে৷ আরএসএস কেন বিএমএসকে নিয়ন্ত্রণ করছে না? এ ক্ষেত্রে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, বিএমএস বিজেপির নিয়ন্ত্রণে নেই৷ তাই রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে যাই বলুন না কেন তা মানতে তারা বাধ্য নয়৷

এ ক্ষেত্রে প্রশ্ণ হল- বিএমএস কি করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আরএসএসের অধীনস্থ হল? কেননা, শ্রমিক সংগঠন সব সময় শ্রমিকদের স্বার্থে কথা বলবে৷ শ্রমিকদের স্বার্থে সরকারের সাথে তারা দর কষাকষি করবে৷ যা আরএসএসের পক্ষে সম্ভব নয়৷ তাই দেশবাসী আরএসএসে যে কর্মধারা দেখছে তার সাথে বিএমএসের কাজের কোনও মিল নেই৷ তা সত্বেও বিএমএসকে নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসএস৷ ব্যাপারটা অদ্ভুত ঠেকলেও বাস্তব৷ এ বাস্তবতা মেনে নিয়ে বলা যেতে পারে যে, বিএমএস তথা যান চালকদের দৌরাত্ম্য বন্ধে আরএসএসকে সক্রিয় হতে হবে৷ তা না হলে রাজ্যবাসীর কাছে বিরূপ বার্ত যাবে৷ আরএসএসের ভাবমূর্তি কলিমালিপ্ত হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *