BRAKING NEWS

কথার নাম লতা

সুবোধ ঘোষ

‘মাথায় কত প্রশ্ণ আসে৷ দিচ্ছে না কেউ জবাব তার৷ সবাই বলে দস্যি ছেলে৷ বকিসনে আর খবরদার৷’ তবে এটা সত্য যে দস্যি ছেলের দুচোখ ভরা অনেক প্রশ্ণ৷ কিন্তু, খঁুজে পায় না তার উত্তর৷ তাই বলে সে চুপটি করে বসে থাকবে তাও নয়৷ সে উত্তর জানার জন্য এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে৷ তবে ক্ষমতার রদবদলের বিষয়টি সে ভাল করে বুঝতে পেরেছে৷ সে বুঝেছে যে, বাম থেকে ক্ষমতা এখন ডানে এসে গেছে৷ অনেকে বাঁকা করে বলে, বাম রাজত্বের অবসান হয়ে চলছে রাম রাজত্বে৷ তবে এটা সত্য যে, রাজ্যজুড়ে এক নতুন বাতাবরণ তৈরী হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী এবং নেতারা নতুন দিশার সন্ধান দিচ্ছে৷ নতুন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি দুই বছরের মধ্যে রাজ্যের খোলাস পাল্টে যাবে৷ রাজ্যে আক্ষরিক অর্থে উত্তর পূর্বের গেটওয়েতে পরিণত হবে৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে নতুন ত্রিপুরার স্বপ্ণ দেখাচ্ছেন৷  এ স্বপ্ণ সাকার হলে রাজ্য দেশের মধ্যে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে৷ রাজ্যজুড়ে বইবে এক নতুন দিশার হাওয়া৷ রাজ্য ভাসছে এ হাওয়ায়৷

বিজেপি জোট সরকারের বয়স আজও পাঁচ মাসও হয়নি৷ এখনো হাঁটি হাঁটি পা পা৷ এরই মাঝে বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রিরা নিজেদের যোগত্যা প্রমাণেও সচেষ্ট৷ নতুন মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্ম সংসৃকতি ফিরিয়ে আনেত৷ বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীরাও সেই লক্ষ্যে কর্মচারীদের বার বার সতর্ক করছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীও বলছেন- সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার জন্য৷ মন্ত্রীরাও তাদের দপ্তরের কর্মীদের নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে আসার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ এজন্য বিভিন্ন দপ্তরে চালু করা হচ্ছে বায়োমেট্রিক প্রথা৷ ফলে রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা একটু সমস্যায় পড়েছেন৷ আরাম আয়েসে অফিসে আসার সিস্টেমটা ধীরে ধীরে যেন লোপ পাচ্ছে৷ তাই সকালে অনেক কর্মচারী নাকে মুখে দুটি ভাত গঁুজে দিয়ে অফিসমুখো হচ্ছে৷

এ পর্যন্ত আমাদের দস্যি ছেলের কোনও দস্যিপনা নেই৷ অফিসে কর্মসংসৃকতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নতুন সরকারের উদ্যোগে এ দস্যি ছেলেরও পছন্দের৷ বাম আমলের কর্ম সংসৃকতির প্রতি তারও বিদ্বেষ রয়েছে৷ কিন্তু, বর্তমানেও তার মনে একটা প্রশ্ণ উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে৷ তা হল নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে আসলে কি কর্ম সংসৃকতি ফিরে আসবে? পঁচিশ বছরের মানসিকতা কি এক ফুৎকারে উড়ে যাবে? সঠিক সময়ে অফিসে এসে কর্মীরা কি কর্মমুখী হয়ে পড়বে৷ আসলে তার জন্য প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন৷ কর্মচারীদেরকে সেই বিষয়ে সচেতন করতে হবে৷ তা না হলে নতুন সরকারের সব উদ্যোগ রসাতলে যাবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *