BRAKING NEWS

মডেল রাজ্যে চাই মডেল শিশু পার্ক

সায়ন্তক চৌধুরী
‘ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা/সব শিশুদের অন্তরে’৷ কবির এমন উপলব্ধি বিষয়ে দ্বিমতের অবকাশ নেই৷ শিশুরাইতো ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল নাগরিক৷ তাদের থেকেতো উঠে আসবে রাষ্ট্র নায়ক থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পেশার লোক৷ তাই আজ যে শিশু কাল সে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে৷ নিজের দেশকে বিশ্ব দরবারে এক বিশেষ স্থানে নিয়ে যায়৷ তাই শিশুরা অবহেলার নয়৷ তাদের মানবিকতার বিকাশ দেশবাসীর ভূমিকাও অস্বীকার করার নয়৷
এমনই একটি প্রাসঙ্গিক চিন্তা ভাবনাকে তুলে ধরলেন রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷ মঙ্গলবার শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী ভাষণে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন যে, বিনোদন থেকে শিশুদের বঞ্চিত করা সমীচীন নয়৷ চলচ্চিত্র হল জ্ঞান বিকাশের মাধ্যম৷ মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রের গুরুত্ব অপরিসীম৷ তিনি বলেন যে, বয়স্কদের জন্য বিনোদনের মাধ্যমের অভাব নেই৷ কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে তার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে৷ মন্ত্রী আক্ষেপ করে আরও বলেন যে, শিশুদের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণের সংখ্যা যথেষ্ট কম৷
রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীর এমন উপলব্ধি তাৎপর্যপূর্ণ বটে৷ শিশুদের বিনোদনের দিকটি তিনি অবহেলা করেননি৷ কেননা, মানসিক ভাবে শিশুরা উৎফুল্ল না থাকলে তাদের শারীরিক ও মেধার বিকাশ সঠিকভাবে হয় না৷ তাই প্রতিটি শিশুকে সেই ভাবে গড়ে তোলার দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়৷ তাই বিনোদনের ক্ষেত্রটা সংকীর্ণ নয় বরং বিশালতায় ব্যপ্ত৷ তাই শিশুদের বিনোদনের জন্য শুধু চলচ্চিত্র নয়৷ বিশেষ করে প্রয়োজন খেলাধুলা এবং ঘোরাফেরার জন্য বন বনানী সবুজে ভরা বিস্তীর্ণ মাঠ তথা শিশু পার্ক৷ এ পার্কে শিশুদের খেলাধূলা সহ চিত্ত বিনোদনের সামগ্রিক উপকরণ থাকতে হবে৷ শুধু মুখে নীতি কথা বললে আরব্য উপন্যাসের সেই যাদুর চেরাগের আলাউদ্দিন এসে শিশুদের চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করবে না৷ এর জন্য বাস্তব উদ্যোগ নিতে হবে৷ চলচ্চিত্র শিশু বিনোদনের আর একটি মাধ্যম হলেও এর জন্য আমাদেরকে পরনির্ভরশীল হতে হবে৷ কেননা, এ পোড়া রাজ্যে চলচ্চিত্র শিল্প গড়ে উঠা দুঃসাধ্যের ব্যাপার৷ কিন্তু হাতের কাজে আমাদের সরকারী খাস জমি রয়েছে৷ রয়েছে শিল্প ও সংসৃকতি দপ্তর৷ প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা৷
বাম সরকারের পঁচিশ বছরের রাজত্বে এমন সদিচ্ছার মারাত্মক অভাব ছিল৷ শিশুদের দিকে নজর দেবার মত তাদের তেমন মানসিকতাও ছিল না৷ তাই রাজধানীর চিলড্রেন পার্ক বর্তমানে ইয়ুথ পার্কে পরিণত হয়েছে৷ ছোট পুকুর পাড়ে ধারে জোড়া জোড়ায় যুবক যুবতীদের ঠেসাঠেসি করে বসে থাকতে দেখা যায়৷ কোনও অভিভাবক তাদের শিশুদের নিয়ে সেখানে গেলে শিশুরা ফ্যাল ফ্যাল করে সেইদিকে তাকিয়ে থাকে৷ তাই রাজধানীতে একটি রুচিশীল শিশু পার্কের অভাব আজকের নতুন নয়৷ রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী রতন উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন৷ আশা করবো এ গুরুত্ব শুধু ভাষণে থাকবে না কাজেও গুরুত্ব পাবে৷ কেননা, রাজধানীতে একটি শিশু পার্ক সত্যি বড্ড প্রয়োজন৷ এ প্রয়োজনের দিকে তৎকালীন বাম সরকার নজর দেয়নি৷ বর্তমানে বিজেপি জোট সরকার নজর দেবে- এ প্রত্যাশা নিশ্চয় করা যেতে পারে৷ কেননা, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বারবার বলছেন যে, ত্রিপুরা একটি মডেল রাজ্যে হবে৷ সেই মডেল রাজ্যে রাজধানীতে একটি মডেল শিশু পার্ক কে না চা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *