BRAKING NEWS

২৭ ঘন্টা পর কল্যাণসাগরে তলিয়ে যাওয়া যুবকের মৃতদেহ ভেসে উঠল

নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ১৬ জুলাই৷৷ ২৭ ঘন্টা পর ভেসে উঠল মৃতদেহ৷ উদয়পুরের কল্যাণসাগরের জলে তলিয়ে যাওয়া যুবক সঞ্জিত সূত্রধরের মৃতদেহ বহু খোঁজাখঁুজি করার পর মিলেনি৷ শেষ জলের নীচ থেকে আপনা আপনি ভেসে উঠেছে মৃতদেহ৷ মৃতদেহ ভেসে উঠায় উৎকন্ঠার অবসান হয়েছে৷ তবে শোকের ছায়া বিরাজ করছে৷

সংবাদে প্রকাশ, রবিবার বিকাল থেক আজ বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়া এনডিআরএফ, ফায়ার সার্ভিস এবং ডিজাস্টার মেনেজমেন্টের কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিল কল্যাণসাগরের জলে তলিয়ে যাওয়া যুবককে উদ্ধারে৷ কিন্তু, মিলেনি৷ শেষ পর্যন্ত গোমতী জেলার জেলা শাসক এবং উদয়পুরের এসডিএম গোটা জলাশয়টি বুটে করে ঘুরে দেখেন৷ এই দুই আধিকারীক ঘাটে আসার মুহুর্তের মধ্যেই ভেসে উঠে সঞ্জিত সূত্রধরের মৃতদেহ৷ এনডিআরএফের জওয়ানরা মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়৷ এদিকে, মাতাবাড়ির কল্যাণসাগরের কচ্ছপ ও অন্যান্য মাছ মৃতদেহের অধিকাংশ ঢুকরে খেয়ে ফেলেছে৷ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় মৃতদেহটি৷

অন্যদিকে, কল্যাণপুর থেকেও এদিন প্রায় চল্লিশজন লোক উদয়পুর মাতাবাড়িতে আসে কল্যাণসাগরের জলে তলিয়ে যাওয়া সঞ্জিতকে খঁুজতে৷ তাদের সাথে এসেছেন কল্যাণপুরের বিধায়কও৷ উদয়পুরের বিধায়ক বিপ্লব কুমার ঘোষ কল্যাণপুরের বাসিন্দাদের এখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন৷ প্রসঙ্গত, তেলিয়ামুড়া মহকুমার কল্যাণপুর ব্লক এলাকার মণিপুরী পাড়ার বাসীন্দা তিন বন্ধু চিরঞ্জিত সিং, বিনয় পাল এবং মনিষ সূত্রধর রবিবার দুপুরে মাতাবাড়িতে আসে৷ পূজা দেওয়ার পূর্বে তিন বন্ধুই স্নান করতে যায় কল্যাণসাগরে৷ সাঁতার কেটে তিন বন্ধুই কল্যাণসাগরের মধ্যবর্তী স্থানে চলে যায়৷ সেখান থেকে চিরঞ্জি ও বিনয় ফিরে আসলেও সঞ্জিত সূত্রধর জলের তলায় তলিয়ে যায়৷ অনেক খোঁজাখঁুজি করার পরও সঞ্জিতকে পাওয়া যায়নি৷ সঞ্জিতকে উদ্ধারের জন্য প্রথমে নামানো হয় ফায়ার সার্ভিস, তারপর নামানো হয়েছিল এনডিআরএফ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *