BRAKING NEWS

টিআরবিটির শিক্ষক নিয়োগে মাইগ্রেসন খতিয়ে দেখতে নতুন কমিটি গঠন করল দপ্তর

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ জুলাই৷৷ মাইগ্রেসন তথা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবর্তনের শংসাপত্র নিয়ে রাজ্যে হৈচৈ শুরু হয়েছে৷ তাই, মাইগ্রেসন বাধ্যতামূলক কিনা খতিয়ে দেখার জন্য নতুন কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা দপ্তর৷

কারণ, শিক্ষক নিয়োগে বিএড সহ অন্যান্য ডিগ্রির ক্ষেত্রে মাইগ্রেসন প্রয়োজন কিনা তা নিয়ে নানা প্রশ্ণ উঠেছে৷ মাইগ্রেসন না নিয়েই বহিঃরাজ্য থেকে অনেকে বিএড কিংবা অন্যান্য ডিগ্রি কোর্স করেছেন এবং কোর্স শেষে প্রাপ্ত ডিগ্রি শিক্ষকতার চাকুরীর জন্য টিআরবিটি’তে জমা দিয়েছেন৷ কিন্তু, বহিঃরাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে  প্রাপ্ত বিএড ও অন্যান্য সার্টিফিকেট জাল এই অভিযোগ এনে শিক্ষকতার চাকুরীর প্রত্যাশী ও অফারপ্রাপকদের নথি যাচাই হোক, সেই দাবি উঠেছে৷ এক্ষেত্রে প্রত্যাশীদের মাইগ্রেসন রয়েছে কিনা তাও যাচাই করা হোক, সেই দাবিও উঠেছে৷ কিন্তু, মাইগ্রেসন আদৌ বাধ্যতামূলক কিনা এই গ্যাড়াকল থেকে উত্তরণে শিক্ষা দপ্তর এখন নতুন কমিটি গঠন করেছে৷ এই কমিটি বহিঃরাজ্য থেকে বিএড কিংবা অন্য কোর্সের ক্ষেত্রে মাইগ্রেসন আদৌ প্রয়োজন কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে শিক্ষা দপ্তরকে৷ সে মোতাবেক দপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে৷

এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, মাইগ্রেসন সার্টিফিকেট নিয়ে সম্প্রতি নানা প্রশ্ণ উঠেছে৷ তাই, নতুন একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ তাঁর কথায়, মাইগ্রেসন নিয়ে বিভিন্ন মহল নানা ধরনের যুক্তি তুলে ধরছে৷ ফলে, মাইগ্রেসন সার্টিফিকেট আদৌ বাধ্যতামূলক কিনা তা খতিয়ে দেখা জরুরী হয়ে পড়েছে৷

শিক্ষক নিয়োগে টিআরবিটি’র রুলস অনুযায়ী মাইগ্রেসন বাধ্যতামূলক নয়৷ কিন্তু, রাজ্যে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পর মাইগ্রেসন ছাড়া একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ নয় বহিঃরাজ্যে এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড কিংবা অন্য কোর্স করা কিভাবে সম্ভব হচ্ছে, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ণ৷ অভিযোগ, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মাইগ্রেসন ছাড়া বিএড কিংবা অন্য ডিগ্রি কোর্সের সার্টিফিকেট প্রাপ্তি সম্ভব হচ্ছে, জালিয়াতি সেখানেই হচ্ছে৷ সমালোচকদের মতে, ওই বিএড ও ডিগ্রি সার্টিফিকেটগুলি সম্পূর্ণ ভূয়া৷

শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, কমিটিতে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারীককেও রাখা হয়েছে৷ তাঁর কথায়, মাইগ্রেসন বাধ্যতামূলক বলে কমিটি রিপোর্ট দিলে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ পাশাপাশি জাল নথির যত অভিযোগ জমা পড়েছে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হবে৷ তাঁর বক্তব্য, শিক্ষকতার চাকুরী প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোন ধরনের ছলচাতুরির আশ্রয় নেওয়া উচিৎ হবে না৷ কারণ, জালিয়াতি ধরা পড়লেই কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ তাই তাঁর আহ্বান, বাঁকা পথে কেউ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে থাকলে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে সে বিষয়টি দপ্তরকে জানালে তা ক্ষমার চোখে দেখা হবে৷ গোপনে রাখলেই ধরা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, অতীতে যদি কেউ শিক্ষকতার চাকুরী জাল নথি দিয়ে পেয়ে থাকেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মিললে দপ্তর তাও খতিয়ে দেখবে৷ অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *