‘মুসলমানদের দল’ প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর

নয়াদিল্লি, ১৬ জুলাই (হি.স.): ‘মুসলমানদের দল’ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের নিন্দায় সরব হলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। কংগ্রেসের মুখোশ খুলে পড়েছে। রাহুল গান্ধীর এই ধরণের মন্তব্যকে কোনও ভাবেই হাল্কা ভাবে নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুশীলকুমার শিণ্ডে এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মন্তব্য তুলে ধরে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, এই প্রথমবার নয় এর আগেও কংগ্রেসের মানসিকতা এমনই ছিল। মনমোহন সিংয়ের সরকারের আমলে যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন সুশীলকুমার শিন্ডে। তখন তিনি বলেছিলেন যেসব মুসলমান যুবকদের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার মামলা রয়েছে তাদেরকে মুক্ত করে দেওয়া হোক। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, জাতীয় সম্পদের উপর প্রথম অধিকার মুসলমানদের।
সম্প্রতি উর্দু সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে রাহুল গান্ধী ‘মুসলমানদের দল’ মন্তব্যটি করেছে। সেই বিষয়ে কংগ্রেস সভাপতির নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রকাশ জাভড়েকর। তিনি আরও বলেন কংগ্রেসের মুখোশ খুলে পড়েছে। রাহুল গান্ধীর এই ধরণের মন্তব্যকে কোনও ভাবেই হাল্কা ভাবে নেওয়া যাবে না।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, সংবাদপত্র পড়ে আমি জানতে পারলাম রাহুল গান্ধী বলেছেন কংগ্রেস মুসলমানদের দল। এতে আমি অবাক হইনি। আমি শুধু জানতে চাই তাদের দলটি কি শুধুমাত্র মুসলিম পুরুষদের জন্য নাকি মহিলাদের জন্যও? প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই শুরু হয় জোর বিতর্ক। রবিবার কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন গোটা ভারতের। বিজেপির নয়। জাতীয় আন্দোলনকে কংগ্রেস নেতৃত্ব দিয়েছে। কংগ্রেসকে ‘মুসলিম পার্টি’ বলে কংগ্রেস ঠিক করেনি। ইতিহাস সম্পর্কে তিনি অজ্ঞ।
এদিন প্রকাশ জাভড়েকর বলেন কংগ্রেসের মুখোশ খুলে পড়েছে। রাহুল গান্ধীর এই ধরণের মন্তব্যকে কোনও ভাবে হাল্কা ভাবে নেওয়া যাবে না। ১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে প্রকাশ জাভরেকর বলেন, মাঝে মধ্যে কিছু কংগ্রেস নেতা দিল্লিতে ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার সমর্থনে সওয়াল করেছে। কংগ্রেস সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করছে। ১৯৮৪ সালের দাঙ্গায় ৩০০০ শিখকে রাজধানী দিল্লিতে খুন করা হয়েছে। ১৯৮০র ভাগলপুর দাঙ্গাতে যেখানে বহু মুসলমানকে হত্যা করা হয় তারও যথাযথ কোনও বিচার হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *