BRAKING NEWS

স্বরোজগারই হচ্ছে রাজ্যের উন্নয়নের চাবিকাঠি ঃ মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ জুলাই ৷৷ আগরতলার ইসকন মন্দির আয়োজিত আজ তৃতীয় আগরতলা রথযাত্রা উৎসবের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ অনুষ্ঠানের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব বলেন, ভারতবর্ষের মধ্যে পুরীর জগন্নাথ ধামে আজকের এই দিনটিতে লাখ লাখ ভক্তজনের সমবেত হন৷ তিনি বলেন, আমাদের যে ধামগুলি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জগন্নাথ ধাম৷ তিনি বলেন, ভগবান প্রথমে বদ্রিনাথ ধামে ধ্যান করেন, দ্বারকা ধামে এসে বিশ্রাম করেন, রামেশ্বর ধামে স্নান করেন এবং পুরীতে এসে ভোজন করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুরীর জগন্নাথ ধামে যাওয়ার পর কোন ব্যক্তিই না খেয়ে আসতে পারে না৷ সবার জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা সেখানে রয়েছে৷ সেটাই পরম্পরা৷ এখনও সেই ব্যবস্থা প্রচলিত৷ তিনি আরও জানান, প্রতিদিন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ২৫ লক্ষ টাকার মাটির পাত্র ভোগ লাগানোর জন্য ব্যবহার করা হয়৷

তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার রাজ্যের ১০টি ব্লকে ২০ কেজি করে বিনামূল্যে গরীব-জাতি, জনজাতিদের মধ্যে অন্নাদন করার ব্যবস্থা করেছে৷ প্রথমবার কোন সরকার ত্রিপুরাতে এই ব্যবস্থা করেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের দায়িত্ব কর এর টাকা সঠিকভাবে রূপায়ণের মাধ্যমে জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করা৷ তিনি বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তিকে বৈভবশালী, স্বনির্ভর করা, আর এটাই জগন্নাথ ধামে শেখানো হয়৷ রাজ্য সরকারও ত্রিপুরার প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে স্বনির্ভর করার কাজ করে চলেছে৷

পুরীর জগন্নাথ ধামের মতো অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা যেমন আছে, সরকারেরও দায়িত্ব সকল জনগণের অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান ব্যবস্থা করে দেওয়া৷ তিনি বলেন, ভগবান জগন্নাথের আর্শিবাদে রাজ্য সরকার সেই দিশাতে কাজ করছে৷ তিনি বলেন, স্বরোজগারীই হচ্ছে রাজ্যের উন্নয়নের চাবিকাঠি৷ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ৩৭ লক্ষ ত্রিপুরাবাসীকে এই পূর্ণ রথযাত্রা উৎসবে জাতি-জনজাতি, ধর্ম বর্ণ নিবির্শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানান৷ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী একটি স্বরনিকা উন্মোচন করেন৷ এরপর রথযাত্রা উপলক্ষ্যে তিনি জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রার পূজার্চ্চনা করেন৷ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন ত্রিপুরা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, আগরতলা ইসকনের কো-প্রেসিডেন্ট শ্রীদাম গোবিন্দ দাস, সমাজসেবী দীপক কর৷ উল্লেখ্য, এবারের এই রথযাত্রা উৎসবে বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে ভগবান জগন্নাথ, বলরা, শুভদ্রার সোনাবেশ এবং ৩টি সুবিশাল সুসজ্জিত রথের চুড়া পুরীর অনুকরণে করা হয়েছে৷ জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রা অধিষ্টিত তিনটি রথ শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা জ্ঞকছরে গুরুজী কনফারেন্স হলের সামনে এসে শেষ হয়৷ ২২ জুলাই শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রা পুনরায় রথে চড়ে ইসকন মন্দিরে ফিরে আসবেন৷ আজকের এই অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রাণ মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *